ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের পশ্চিম বিভাগদী আব্বাসিয়া দাখিল মাদ্রাসায় অবৈধ উপায়ে নিয়োগ পাওয়া এক সহকারী শিক্ষকের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। অভিযুক্ত শিক্ষক হালিমা খাতুন শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আনিছুর রহমান বালী জানান, হালিমা খাতুনের নিয়োগ প্রক্রিয়াটি নীতিমালার বাইরে ও ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় তার বেতন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্রে জানা যায়, হালিমা খাতুন ২০০০ সালের ২০ জানুয়ারি সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। অথচ তার নিয়োগের সময় শারীরিক শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বিপিএড সনদ ছিল না। তিনি ২০১৩ সালে কুষ্টিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে বিপিএড পাশ করেন, যা ১৯৯৫ সালের মাদ্রাসার জনবল কাঠামো ও বেতন-ভাতা সংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থী।
এছাড়া, ২০০৪ সালের একটি বিপিএড সনদ জমা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, যা পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে যাচাই করে ভুয়া হিসেবে প্রমাণিত হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সৈয়দ ফজলে রাব্বী নোমান-led তদন্ত কমিটি হালিমা খাতুনের নিয়োগ ও শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই করে অনিয়মের সত্যতা পান।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. আবু নাসের আহমাদ বলেন, হালিমা খাতুনের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ছিল এবং প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী তার বেতন বন্ধ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সুস্মিতা সাহা বলেন, “সালথার ইউএনও যেভাবে অবৈধ নিয়োগ চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। যারা এভাবে অনৈতিকভাবে শিক্ষকতা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।”
এখন হালিমা খাতুনের বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। প্রশাসনের এই পদক্ষেপে এলাকায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি আস্থা আরও দৃঢ় হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।