তাপস কুমার মজুমদার, স্টাফ রিপোর্টার, ভোলা
বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ভোলায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন অবস্থায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে জেলার ইলিশা ফেরিঘাট অতি জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ফেরির গ্যাংওয়ে ও চলাচলের পথ পানিতে তলিয়ে থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে নৌকা দিয়ে ফেরিতে ওঠানামা করছেন।
অন্যদিকে, সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর এবং নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি থাকায় ভোলা-লক্ষ্মীপুরসহ অন্তত ১০টি অভ্যন্তরীণ নৌরুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে ভোলার সঙ্গে দেশের অন্যান্য জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জরুরি কাজে যাত্রা করতে গিয়ে সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
অনেক যাত্রী বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ ট্রলার ও স্পিডবোটে করে উত্তাল মেঘনা নদী পাড়ি দিচ্ছেন। এসব নৌযান নিরাপত্তা ও লাইসেন্সবিহীন হওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর ভোলা নদী বন্দরের পরিবহন পরিদর্শক মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, “সমুদ্রে ৩ নম্বর ও নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত গত তিন দিন ধরে বহাল রয়েছে। এজন্য ভোলা জেলার ইলিশা-লক্ষ্মীপুর, মনপুরা-ঢাকাসহ ১০টি রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ভোলা-ইলিশা ফেরি রুটে চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।”
এ অবস্থায় দুর্যোগ কেটে না যাওয়া পর্যন্ত যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের তদারকি এবং সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।