কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
প্রানঘাতী করোনা ভাইরাসের হাত থেকে কচুয়া বাসীকে রক্ষা করার জন্য ও উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দোকান্দার ও জনসাধারন মাক্স না পড়ার অপরাধে এবং মাক্স ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে কচুয়ায় কঠোর লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনে কচুয়া উপজেলার কচুয়া বাজার, সাইনবোর্ড বাজার, বাধাল ও গোপালপুর, গজালিয়া বাজার, ভাষা বাজার ও তালেশ্বর বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১১টি মামলা করে ১ হাজার ৭শত পঞ্চাশ টাকা জরিমানা আদায় করেন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল।
কঠোর লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল এর সাথে কচুয়া থানা অফিসার ইন চার্জ মো: মনিরুল ইসলাম ও উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও বাজারে বাজারে তারা পুলিশ বাহিনীর দ্বারা টহল জোরদার করেছেন ও অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে কাউকে না বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল কচুয়া বাজার সহ বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ও দোকানের সামনে মাক্স বিতরন করেন।, এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
লকডাউনের ফলে দুরপাল্লার পরিবহন সহ সব গনপরিহন বন্ধ রয়েছে। এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায়, এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে লোকজনের যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। কচুয়া থানা অফিসার ইন চার্জ মো: মনিরুল ইসলাম সহ সকল আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কচুয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ন স্থানে টহল দিচ্ছেন। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেড় হলেই আইনশৃংখলা বাহিনীর জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারন জনসাধারনের। জরুরী সেবা প্রদান কারী পরিবহনগুলো ছাড়া লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনে উপজেলার সব ধরনের যাত্রীবাহী গনপরিবহন ও দোকানপাট বন্ধ ছিল । নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবা ক্রয় বিক্রয়ের জন্য সকালের দিকে কিছু মুদি দোকান সীমিত আকারে কাঁচা মালের দোকান খোলা দেখা গেলে ও তা বিকাল ৫টার মধ্যে বন্ধ করতে হচ্ছে। তবে বাজার গুলোতে জনসাধারনের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল প্রানঘাতী করোনা ভাইরাসের কারনে লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনে কচুয়া সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এবং কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে কর্মহীন, হতদরিদ্র, রিক্সা চালক, ভ্যান চালক ও ছিন্নমুল, প্রতিবন্দী মানুষদের তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন । এ সময় তাঁর সাথে ছিলে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: ফিরোজ আহম্মেদ,জেলা পরিষদ সদস্য সেখ মনিরুজ্জামান ঝুমুর, উপজেলা প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার কুন্ডু, বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সহ এলাকার রাজনৈতিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য করোনা সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে সরকারের ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়ের হতে বিভিন্ন সময়ে প্রাপ্ত ১৯ লক্ষ টাকা ও ২ টন চাউল বিতরনের কার্যক্রম ও চলমান রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান থেকে প্রাপ্ত লিস্টের মাধ্যমে এই খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।