যশোর প্রতিনিধি
ঝিকরগাছা উপজেলার ব্যাঙদাহ গ্রামের কৃষক রবিউলের একটি গাভীন গরু বৃহস্পতিবার ভোররাতে দড়ি ছিঁড়ে পালিয়ে যায়। কুকুরের ধাওয়া খেয়ে আতঙ্কে দিগ্বিদিক ছোটে গরুটি, এরপর কাবিলপুর সীমান্ত পেরিয়ে পড়ে ভারতের দিকে।
রবিউল ইসলাম জানান, পরিবারটি মসজিদের মাইকে গরু হারানোর ঘোষণা দিতে চাইলে অনুমতি মেলে না। পরে মাইক ভাড়া করে প্রচার চালানো হয়। কিন্তু স্থানীয় বিজিবি সদস্যরা বলেন, “আপনাদের গরু তো ইন্ডিয়ায় চলে গেছে, মাইকিং করে লাভ কী!”
তবে খোঁজ নিতে গিয়ে পরিবারের চোখ কপালে—বিজিবির টহল দল গরুটি আটক করে বেনাপোল কাস্টমসে হস্তান্তর করেছে এবং মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেটি নিলামে বিক্রি হয়েছে।
পরবর্তীতে গ্রামবাসী মিলে বিজিবি ক্যাম্পে গেলে ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার মাহাবুব জানান, রাস্তার উপর গরুটি দেখতে পেয়ে ক্যাম্পের হাবিলদার সেটি ধরে নিয়ে আসেন।
নিলাম ক্রেতা ইউ এস ইন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার মোঃ ইউনুস আলী বলেন,“গরুটি আমরা বেনাপোল কাস্টম হাউস থেকে ২০ হাজার ৫শ টাকা ডাকে কিনেছি।”
৪৯ বিজিবির যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সীমান্তে একটি গরু পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যান্ত আমাদের জিম্মায় ছিল। পরে আমরা কাস্টমসকে সিজার হিসেবে জমা করি। এসময় গরুর মালিকসহ এলাকাবাসী আসলে তাদেরকে কাস্টমসের সাথে যোগাযোগ করতে বলি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গরুর মালিক দরিদ্র। আমরা গরুর মালিকের সাথে বসে রিকভারি করার ব্যবস্থা করবো।
বেনাপোল কাস্টমসের আরও আরিফুল ইসলাম বলেন, গরুর মালিক আমাদের কাছে আসেনি। গরুর হাতে পাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে যাই।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। গরুটি মালিকের অনুমতি বা আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই অকশনে বিক্রি হওয়াকে কেন্দ্র করে বিজিবির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।