মোঃ মোকাররম হোসাইন, কালাই (জয়পুরহাট)
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় দাম্পত্য কলহের জেরে এক ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামীর ওপর স্ত্রীর বটির কোপে হামলার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের টাকাহুত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত স্বামীর নাম মতিয়র রহমান (৩৫)। তিনি টাকাহুত গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন সরকারের ছেলে এবং একটি বেসরকারি ব্যাংকে জুনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত। তার স্ত্রী খাইরুন্নেসা সুমি বিনইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, খাইরুন্নেসা সুমির এটি চতুর্থ বিবাহ। আগের তিন স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর কয়েক মাস আগে মতিয়র রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে তাদের মধ্যে কলহ চলছিল।
পরিবারের দাবি, মতিয়রের বাবা তার দুই মেয়ের জন্য স্থানীয় মোসলেমগঞ্জ বাজার এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করে দেন। এরপর সুমি তার স্বামীকে বগুড়া শহরে একটি ফ্ল্যাট কেনার চাপ দিতে থাকেন, এমনকি সন্তানের নামে ১০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা রাখারও দাবি জানান। এসব নিয়েই দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
ঘটনার দিন সকালে মতিয়র রহমান কর্মস্থলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হলে সুমি ঘর থেকে বটি এনে স্বামীর মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। গুরুতর আহত মতিয়র মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সুমি পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মতিয়রের বোন জান্নাতুন নেছা অভিযোগ করে বলেন, “আমার ভাবি চরিত্রহীন ও অতিরিক্ত চাহিদাসম্পন্ন নারী। আমার ভাই তার চতুর্থ স্বামী। আগের তিনজনই ডিভোর্স দিয়েছে। এখন আমার ভাইয়ের জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।” তিনি মামলা দায়েরের প্রস্তুতির কথাও জানান।
অভিযোগ অস্বীকার করে স্ত্রী খাইরুন্নেসা সুমি মোবাইল ফোনে বলেন, “আমার স্বামী একজন চরিত্রহীন মানুষ। তার ব্যাংকে এক হিন্দু নারী সহকর্মীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। আমি এসব বলায় সে নিজেই ঘটনা সাজিয়ে আমার ওপর দোষ চাপাচ্ছে। আমিও তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।”
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.