মোঃ জিহাদুল ইসলাম, নড়াইল প্রতিনিধিঃ
কালিয়ায় বিজ্ঞ আদালতের আদেশ ১৪৪ ধারা অমান্য করে বিরোধ পূর্ন জমিতে জোরপূর্বক বসত ঘর নিমার্ণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তার সামনে বাদী পক্ষকে মেরে গুরুতর আহত করেছে বিবাদীরা।ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়া উপজেলার বাঐসোনা ইউনিয়নের দক্ষিন যোগানিয়া গ্রাম এলাকায়।
মামলার বিবরণে জানা যায় দক্ষিণ যোগানিয়া গ্রামের মৃত খলিল শেখের মেয়ের রেকর্ডকৃত ৮ শতক জমিতে ফলজ ও বনজ গাছ লাগানো আছে। সেই জমি দখল করে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মৃত মালু শেখের ছেলে মোঃ তোতা মিয়া শেখ, মুনসুর শেখের ছেলে মিকু শেখ ও তার ছেলে লিমন শেখ, নাসিম শেখ, ও একই গ্রামের সুমন, তালিমুল শেখ বসত ঘর,ও গ্যারেজ নির্মাণ করার অপচেষ্টা করে আসছে। এনিয়ে খাদিজা খাতুন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ায় গত ২৮ জুন/২১ তারিখে নড়াইল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারা মতে একটি পিটিশন (নং-২৮৭৯/২১) মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে বিরোধ পূর্ন জমিতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য বাঐসোনা ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তাকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলেরর নির্দেশ প্রদান করেন। সে অনুযায়ী বাঐসোনা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা মাহমুদ মোল্যা ১২ জুলাই (সোমবার) তদন্তে যান এবং উভয় পক্ষকে ডেকে তফশিল বর্ণিত সম্পত্তিতে শান্তি শৃংখলা এবংস্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য আদিষ্ট হইয়া নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু বিবাদী পক্ষ এ আদেশ অমান্য করে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে ওই বিরোধ পূর্ণ জমিতে কাজ চালিয়ে যান এবং নায়েব মাহমুদ মোল্যার সামনে বিবাদী পক্ষের তোতা শেখ, মিকু শেখ, লিমন শেখ, নাসিম শেখ, সুমন শেখ, তালিমুল শেখ সহ তার দলীয় লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খাদিজা ও তার ভাতিজা মোঃ মুস্তাইন শেখের উপর আতর্কিত হামলা করে। এ হামলা মুস্তাইন শেখের মাথায় আঘাত করলে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। স্থানীয়রা আহত মুস্তাইনকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে নড়াগাতি থানা পুলিশ ও নড়াইলের ডিবি পুলিশের দুইটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্তনে আনে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তোতা মিয়া শেখ, তালিমুল, একন, আজগার নামের চারজনকে আটক করে।
এ বিষয়ে নড়াগাতি থানার অফিসার ইনজার্জ মোসাঃ রোখছানা খাতুন নবধারা কে বলেন, এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে।