স্টাফ রিপোর্টার নড়াইল
জুলাই শহীদ রবিউল ইসলাম কে‘ভুয়া শহীদ’আখ্যা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় প্রথম আলো’র বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে শহীদ পরিবার।বুধবার (১৭সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় শহীদ রবিউল ইসলামের স্ত্রী সাবরিনা আক্তার নড়াইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান,গত ১৫সেপ্টেম্বর প্রথম আলো অনলাইন এবং প্রিন্ট ভার্সনে ৫২ ভুয়া শহীদ হিসেবে একটি সংবাদ প্রকাশ করে।এই সংবাদের মধ্যে শহীদ রবিউল ইসলাম কে (গেজেট-৩৭৪ নং) ভুয়া শহীদ উল্লেখ করা হয়।
প্রথম আলো সংবাদে উল্লেখ করেছে‘অভ্যুত্থানের পর রাজধানীর উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় এলোপাথাড়ি গুলি করেছে,তার ছোড়া গুলিতে একজন শিশু আহত হয়, গুলি শেষ হয়ে গেলে তিনি পালিয়ে যাবার চেষ্টা করেন,তখন তাকে মারধোর করে পিটিয়ে মারে। এরপর লাশ গাছে বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়’। প্রথম আলোর এহেন মিথ্যা-ভিত্তিহীন তথ্যের উপর ভর করে সংবাদ প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়।
প্রথম আলো,ডেইলি স্টার বিগত ম্বৈরাচারের তাবেদার হিসেবেই টিকে ছিলো। তারা এখনো এটা চালিয়ে যাচ্ছে, যা আমাদের এই সময়ে এসেও সহ্য করতে হচ্ছে। তারা (প্রথম আলো) মনে করে আমরা সবার উপরে আছি,আমাদের কেউ জবাবদিহিতার আওতায় আনবে না। কিন্তু অবশ্যই জালিমের পরাজিত হতে হবে-বলেন তিনি।
রবিউলের স্ত্রী সাবরিনা আক্তার আবেগ প্রবণ হয়ে বলেন,৫ আগেস্টের আনন্দ মিছিলে মবের শিকার হয়ে আমার স্বামীর করুণ মৃত্যু হয়। তখন আমি সন্তান সম্ভাবা সেই থেকে ট্রমাটাইজ আছি। আমি এখনো সেই যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছি। এই কঠিন সত্যের মধ্যে দিয়ে আমি যাচ্ছি, এখন মানুষ ভাইরাল হবার জন্য গুজব ছড়ায়। অথচ আমাদের মানষিক অবস্থার খোঁজ কেউ রাখে না। সব সঠিক তথ্য বাছাই এর পরই রবিউল শহীদ হিসেবে গ্রেজেটভুক্ত হন। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে সে (রবিউল) আন্দোলনে ছিল না,গুজবই সঠিক,তাহলে গ্রেজেট থেকে তার নাম বাদ দিয়ে দিন। কিন্তু প্রথম আলো আমাদের কোন বক্তব্য ছাড়া যে গুজব ছড়ালো তার জন্য তাকে ক্ষমা চেয়ে সংবাদ প্রচার করতে হবে,তা না করলে আমরা প্রথম আলোর বিরুদ্ধে লিগ্যান একশানে যাব।
সংবাদ সম্মেলনে জুলাই শহীদ রবিউল ইসলামের শিশু সন্তান সাহাল ইবনে রবিউল, রবিউলের চাচা আহমেদ সাঈদ টুলু, জাতীয় যুব শক্তির যুগ্ম আহবায়ক মাহামুদা সুলতানা রিমি,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইলের সাবেক আহবায়ক আব্দুর রহমান মেহেদী উপস্থিত ছিলেন।