মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
মাগুরার মহম্মদপুরে মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক এমবি বাকের হোসেনকে তার পদ থেকে অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ‘জুলাই যোদ্ধা’ ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সকালে মহম্মদপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের আল্টিমেটাম দিয়ে জানান, দাবী না মানা হলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলা হয়, আহাদ-সুমন হত্যা মামলার আসামীদের জামিনে মুক্তি দিতে অধ্যাপক এমবি বাকের জামায়াতের কর্মী হিসেবে প্রত্যয়নপত্র দিয়ে সহায়তা করেছেন। অথচ ওই আসামিরা পলাশবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনের পদধারী নেতা। বক্তারা অভিযোগ করেন, এমবি বাকেরের দেওয়া প্রত্যয়নপত্রের কারণে কয়েকজন আসামী জামিনে মুক্তি পায়—যা শহীদদের আত্মত্যাগের সঙ্গে সরাসরি বেইমানি।
জুলাই যোদ্ধারা আরও অভিযোগ করেন, এটি জামায়াতে ইসলামীর দলীয় সিদ্ধান্ত নয়, বরং এক ব্যক্তির রাজনৈতিক দ্বিচারিতা ও অনৈতিক অর্থনৈতিক লেনদেনের ফসল। তারা অধ্যাপক বাকেরকে ‘প্রতারক’ আখ্যা দিয়ে দল থেকে অপসারণের জোর দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে শহীদ সুমনের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,“আমার সন্তানকে আন্দোলনে শহীদ হতে হয়েছে। আজও তার হত্যার বিচার পাইনি, অথচ জামায়াতের আমির হত্যাকারীদের জামিনের জন্য প্রত্যয়ন দিয়েছেন! এটা আমার সন্তানের লাশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।”
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অধ্যাপক এমবি বাকের বলেন,“আমার কাছে অনেকে প্রত্যয়ন নিতে আসে। যারা প্রত্যয়ন নিয়েছে, তারা কিছু তথ্য গোপন করেছে। তাদের আওয়ামী লীগের পদধারী ও হত্যা মামলার আসামী হওয়া আমার জানা ছিল না। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল হয়েছে।”
এ ঘটনায় মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর অভ্যন্তরেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।