Nabadhara
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নরসিংদীতে বিএনপির সংঘর্ষের সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের ওপর হামলা

শারমিন সুলতানা, নরসিংদী প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫ ৮:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শারমিন সুলতানা, নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে বিএনপির সংঘর্ষের খবর প্রকাশের জেরে হামলার শিকার সাংবাদিক আইয়ুব খান সরকারছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর প্রকাশের জেরে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতাল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

বিএনপির একদল কর্মী তাঁর ওপর হামলা করলেও তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম আইয়ুব খান সরকার। তিনি বেসরকারি যমুনা টেলিভিশনের নরসিংদীর স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত। এলোপাতাড়ি কিলঘুষিতে তাঁর মাথা ফেটে গিয়ে চারটি সেলাই দিতে হয়েছে।

আজ ভোর পাঁচটার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. ইদন মিয়া (৬০) নামের একজন নিহত হন। আহত হন আরও অন্তত পাঁচজন। হতাহত ব্যক্তিদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে আনা হয়েছিল। ওই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে সকাল থেকে হাসপাতাল কমপ্লেক্সে অবস্থান করছিলেন আইয়ুব খান সরকার।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, আলোকবালীর সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের খবর নিতে হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান করছিলেন হতাহত ব্যক্তিদের স্বজন, স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকেরা। বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিএনপির একদল কর্মী যমুনা টিভির সাংবাদিক আইয়ুব খান সরকারকে ঘিরে ধরেন। তাঁরা জানতে চান, যমুনা টিভির সংবাদে ঘটনাটিকে কেন ‘বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ’ লেখা হয়েছে। তাঁদের দাবি, ঘটনাটি ঘটেছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে। দ্রুত সেটি সংশোধনের দাবি করেন তাঁরা।

প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, এ সময় সাংবাদিক আইয়ুব খান সরকার তাঁদের বলেন, স্থানীয় লোকজন, বিভিন্ন সোর্স ও পুলিশের বক্তব্য নিয়ে তিনি প্রতিবেদনটি করেছেন। এখানে কোনো ভুল নেই। এ কথা বলার পরপরই তাঁরা উত্তেজিত হয়ে আইয়ুব খান সরকারের গায়ে হাত তোলেন। এ সময় তাঁদের উপর্যুপরি কিলঘুষিতে মাথা ফেটে যায় তাঁর। একপর্যায়ে কয়েকজন সাংবাদিকের সহায়তায় হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তার (আরএমও) কক্ষে আশ্রয় নেন তিনি।

হামলার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, যমুনা টিভির সংবাদে কেন বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ বলা হয়েছে, তা নিয়েই প্রথমে তর্কাতর্কি শুরু হয়। আইয়ুব খান সরকার বারবারই এটা তো তাঁর লেখার কিছু নয়, ওসি ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন বলছিলেন। এরপরই ‘লিখলি কেন’, ‘এখনই ঠিক কর’ বলে হামলা করা হয়। তাঁকে উপর্যুপরি কিলঘুষি মারা হয়। ঠেকাতে গিয়ে তিনিও (আশিকুর) কিলঘুষি খেয়েছেন।

সদর হাসপাতালের আরএমও ফরিদা গুলশানারা কবীর বলেন, হামলার ঘটনায় সাংবাদিক আইয়ুব খান সরকারকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁর মাথার ডান পাশে চারটি সেলাই লেগেছে। মাথায় আঘাত করার কারণে তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, হাসপাতাল চত্বরে সাংবাদিক আইয়ুব খান সরকারের ওপর হামলার ঘটনা শুনেছেন। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।