যশোর প্রতিনিধি
যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়ে বলা হয়, দ্রুত তাকে অপসারণ না করা হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন জেলার ক্রীড়া সংগঠক, সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়রা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্রীড়া সংগঠক মাহতাব নাসিব পলাশ। এতে অভিযোগ করা হয়, কাজী ইনাম আহমেদ কখনও যশোর জেলার ক্রীড়া কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন না। তা সত্ত্বেও উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে অ্যাডহক কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বক্তারা বলেন,“যদি তিনি দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক হতেন, তাহলে কমিটির শুরুর পর্যায়েই তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হতো। কিন্তু চলতি মাসের শুরুতে নতুন দু’জন সদস্য যুক্ত করার সময় তার নাম ছিল না। পরে হঠাৎ করে একজনকে বাদ দিয়ে তাকে যুক্ত করা হয়—যা প্রশ্নবিদ্ধ।”
সংগঠকরা অভিযোগ করেন, শ্রীনিবাস হালদারের মতো একজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ সংগঠককে বাদ দিয়ে কাজী ইনামকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা ক্রীড়াঙ্গনের স্বার্থবিরোধী। তারা দাবি করেন, পূর্বে কাগজে-কলমে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাথে যুক্ত থাকলেও কাজী ইনাম কোনো দৃশ্যমান অবদান রাখতে পারেননি।
বক্তারা আরও অভিযোগ করেন,“কাজী ইনাম তার ভাই কাজী নাবিল আহমেদের রাজনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে যশোরের ক্রীড়াঙ্গনে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। দুর্নীতিপরায়ণ ও সুবিধাভোগী গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তিনি নানা অনৈতিক প্রক্রিয়ার আশ্রয় নিয়েছেন। ফলে ক্রীড়াঙ্গনে বিভাজন তৈরি হয়েছে এবং ন্যায্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত খেলোয়াড় ও সংগঠকরা।”
এসময় বক্তারা অবিলম্বে কাজী ইনাম আহমেদকে অ্যাডহক কমিটি থেকে অপসারণ করে যশোর ক্রীড়াঙ্গনকে ফ্যাসিবাদ ও অনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার খান রফিক মোহাম্মদ রতন, ফুটবলার সৈয়দ মাসুক মোহাম্মদ সাথী, সাবেক ক্রিকেটার মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবিএম আক্তারুজ্জামান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ সোহেল মাসুদ হাসান টিটো, সংগঠক শহীদ হোসেন লাল বাবু প্রমুখ।