নবধারা ডেস্ক
উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস এখন সারা বিশ্বে বেশি দেখা যায়। জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাস বা পরিবেশ এর জন্য অনেকাংশে দায়ী। বিশ্বব্যাপী ৮৩ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছে। রক্তে শর্করার মাত্রা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ করে জীবনযাত্রা,খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এর একটি কার্যকর নিয়ন্ত্রণের উপায় হলো খালি পেটে কিছু খাবার এবং পানীয় গ্রহণ করা। এই প্রাকৃতিক প্রতিকারগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সকালে কি খেতে হবে-
১.মেথির পানি
উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সকালে খালি পেটে মেথি পানি পান করা উপকারী হতে পারে, কারণ মেথি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়। মেথিতে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, পাশাপাশি ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। এটি শরীরের প্রদাহ ও জারণ চাপ কমাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে।
২.জিরা পানি
উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসের নিয়ন্ত্রণে সকালে খালি পেটে জিরা পানি বেশ উপকারী । জিরা শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা ডায়াবেটিসের জন্য ভালো। এছাড়াও, জিরা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে, কারণ এতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেমন পটাশিয়াম, আয়রন ও ফাইবার রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রাখে।
৩.আমলকি
আমলকিতে এমন পুষ্টি রয়েছে যা ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপ উভয় নিয়ন্ত্রণের জন্য দুর্দান্ত। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমলকি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদরোগের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। খালি পেটে আমলকি খেলে বিপাক বৃদ্ধি পায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪. গোল মরিচ ও দারুচিনি
দারুচিনি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং দারুচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এবং ডায়াবেটিসের জটিলতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এক গ্লাস দারুচিনি মেশানো পানি সঙ্গে এক চিমটি গোল মরিচের গুড় মিশিয়েএ খেলে হজমশক্তি বাড়ায় এবং বিপাকক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে, দারুচিনি প্রদাহ কমাতে সহায়ক। গোলমরিচে থাকা পাইপেরিন দারুচিনির উপকারী উপাদানগুলোকে সহজে শোষণ হতে সাহায্য করে, ফলে এর কার্যকারিতা বাড়ে। দারুচিনি হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও ভূমিকা রাখে।
তাই নিয়মিত এই প্রাকৃতিক উপায়গুলো অনুসরণ করুন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন—নিজেকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখতে। আসুন, নিয়ম মেনে চলি—নিজেকে সুস্থ রাখি
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.