নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দায় দুই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সাভার আলী (৫৫) নামের এক কবিরাজকে আটক করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার সকালে তাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ওই দুই ছাত্রীর অভিভাবক বাদি হয়ে থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
আটককৃত সাভার আলী উপজেলার দেবীপুর গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে এবং ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কবিরাজ সাভার আলী একজন গ্রাম্য কবিরাজ। তার চৌবাড়ীয়া বাজারে ভেষজ ঔষধের দোকান আছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টার দিকে দুই ছাত্রী বাড়ী থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা করে। পথিমধ্যে একজনের পেট ব্যথা শুরু হলে জরুরীভাবে ঔষধ নেওয়ার জন্য তারা সাভারের দোকানে গিয়ে পেট ব্যথার ঔষধ দেওয়ার জন্য বলে। তখন সে পেটা অনেক সমস্যা আছে বলে তার সহপাঠীকে বেঞ্চের উপর বসিয়ে রেখে তার চেম্বারের এক পাশে থাকা খাটের উপর শুয়াইয়া জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। পরে তার সমস্যার কথা তাহার সহপাঠীকে বলবে বলে অপর জনকে চেম্বারের মধ্যে ডেকে নেয়। এরপর তার কোথায় সমস্যা দেখাতে চেয়ে তাকেও জোর পূর্বক ধর্ষণ করে তাদের স্কুলে পাঠিয়ে দেয় এবং বলে পরবর্তীতে কোন সমস্যা হলে তার কাছে থেকে যেন ঔষধ নিয়ে যায়। পরে তারা দুইজনেই তাদের ধর্ষনের কথা একে অপরকে জানায়। তারা লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি পরিবারের কাউকে তাৎক্ষনিক না জানিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে।
এরপর এক ছাত্রীর পরিবারের লোকজন মেয়েকে কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে গত বুধবার রাতে তাদের ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করে। ঘটনাটি শোনার পরে গ্রামের উত্তেজিত জনতা সকাল অনুমান ৯ টার দিকে সাভারের দোকানে গিয়ে তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরবর্তীতে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করলে মান্দা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মুনসুর রহমান বলেন, জাতীয় হেল্পলাইন থেকে কল আসার পর সাভার আলীকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।