বাকেরগঞ্জ (বরিশাল)প্রতিনিধি
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় (২৬ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার) রাত ৮টায় স্বামীর চরিত্রহীনতা ও প্রতারণার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গৃহিণী মালা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে মালা বেগম জানান, ১৯৯৮ সালে উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত লেহাজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে তিন কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই, ২০০৫ সালে তিনি প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, স্বামী মনির হাওলাদার (বর্তমানে পরিচিত ফয়সাল মাহমুদ নামে) দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে তার ও সন্তানদের ভরণপোষণ বন্ধ করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) দুপুরে তার স্বামী মনির হোসেন ওরফে ফয়সাল মাহমুদ দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বাহাদুরপুর গ্রামে তার (মালার) বাড়িতে এসে ঘরের তালা ভেঙে ঢুকে হামলা চালায়। এসময় তাকে, তার দুই মেয়ে ও জামাতাকে মারধর করে আহত করে।
এ ঘটনার পর, ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মনির হাওলাদার নিজেকে ‘মিডিয়াকর্মী’ পরিচয় দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করে বাকেরগঞ্জ থানায় আমি , আমার সন্তান ও স্থানীয় কিছু লোক এবং আমার মেয়ে জামাইকে আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আমাকে এবং আমার মেঝো মেয়েকে গ্রেফতার করা হয়, আদালতের মাধ্যমে একদিন পর জামিনে মুক্তি পাই।
সংবাদ সম্মেলনে মালা বেগম আরও অভিযোগ করেন, তার স্বামী মামলা করেই থেমে থাকেননি; বরং নিজের অপরাধ ঢাকতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেন। এক ফেসবুক পোস্টে তার স্ত্রী, জামাতা সোহেল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা এবং বাকেরগঞ্জ থানার ওসিকে জড়িয়ে অপমানজনক ও মানহানিকর পোস্ট দেন। এমনকি ওই নেতার ছবি ব্যবহার করেও সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচার চালান।
মালা বেগম বলেন, “ঘটনাটি একান্তই আমাদের পারিবারিক বিষয়। এখানে কোনো রাজনৈতিক নেতা বা স্থানীয় কাউকে জড়ানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তার স্বামী মনির হাওলাদার বিভিন্ন ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছেন। একদিকে তার ভোটার আইডি ও কাবিননামায় নাম ‘মনির হাওলাদার’, অপরদিকে তিনি ঢাকায় ‘ফয়সাল মাহমুদ’, ‘হৃদয় হোসেন’ কিংবা ‘ডা. ফয়সাল মাহমুদ’ নামে পরিচয় দিয়ে একটি ডেন্টাল চেম্বারে ভুয়া ডাক্তারি করছেন। এছাড়াও সাংবাদিক পরিচয়ে মিডিয়া কর্মী হিসেবেও প্রতারণা করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন এবং তিনি আমি ছাড়াও ঢাকা সহ বিভিন্ন যায়গায় আরো চার চারটি বিয়ে করেছে।
মালা বেগম আরও জানান, “আমার স্বামীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নবম শ্রেণি পর্যন্ত, অথচ তিনি নিজেকে কখনো ডাক্তার, কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রতারণা করছেন।”
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তার স্বামীর অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানান এবং বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.