কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
“বিনামূল্যে ভ্যাকসিন নিন, মূল্যবান জীবন বাচাঁন, পরিবাকে নিরাপদ রাখুন“ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রানঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গন টিকা দান কার্যক্রম আগামী ৭ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাচ্ছে।

এ উপলক্ষে গতকাল সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক ভার্সুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিখল্পনা কর্মকর্তা ডা: মঞ্জুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য কমল্পেক্স, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ কতৃপক্ষ মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন।

উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৭টি কেন্দ্রে ২১টি বুথে এ টিকা কার্যক্রম শুর হবে। প্রতিদিন প্রায় ৪ হজার ২ শত মানুষ পাবে এ করোনার টিকা। কেন্দ্র গুলো হলো গজালিয়া ইউনিয়নে গজালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধোপাখালী ইউনিয়নে বারদারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার, মঘিয়া ইউনিয়নে শহীদ আ: জলিল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কচুয়া সদর ইউনিয়নে ২নং বারুইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাড়িপাড়া ইউনিয়নে ১নং বারুইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাধাল ইউনিয়নে বাধাল ইউনিয়ন পরিষদ ও গোপলপুর ইউনিয়নে শহীদ আসাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মঞ্জুরুল আলম বলেন, সাধারণ মানুষের দ্বারপ্রান্তে এ টিকা পৌছে দিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে ৭ আগস্ট থেকে টিকা দেওয়া হবে। নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি কেন্দ্র ও ৩টি বুথে প্রতিদিন ৬০০ মানুষকে টিকার আওয়াতায় আনা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জীনাত মহল বলেন, ইউনিয়নের পর্যায়ে নিবন্ধনের মাধ্যমে ৭টি কেন্দ্রে টিকা কর্যক্রম চলবে। মাঠপর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মী , পুলিশ, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, আনসার, গ্রামপুলিশ, সেচ্ছাসেবকরা সার্বিক সহযোগিতায় থাকবেন। ইতিমধ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়ে গেছে। ইউনিয়ন সচিব ও উদ্যোক্তাদের অনলাইনে টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু করার নির্দেশনা দিয়াছেন।

তিনি আরও বলেন, সরকারী ওয়েবসাইড সুরক্ষা বিডি কম থেকে ১৮ বছর হলে যে কেউ তার নিজের মোবাইল থেকে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। আর তা না হলে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার বা কোন হাইস্কুলে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবে। সকলকে অবশ্যই আইডি কার্ড নিয়ে ইউনিয়ন কেন্দ্রের বুথে এসে করোনা প্রতিরোধের টিকা নিতে হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নাজমা সরোয়ার বলেন,মানুষের জীবন বাচাঁতে বিনামূল্যে টিকার ব্যবস্থা করেছে সরকার, এখন নিজের পরিবারকে বাচাঁতে দায়িত্ব নিতে হবে আপনার। পরিবারের সুরক্ষার জন্য আমাদের নিজেদের টিকা নিতে হবে এবং পরিবারের সদস্যদের টিকা দিতে হবে,স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।জীবন বাঁচলে, পরিবার বাচঁবে, জীবিকা বাচঁবে। প্রতিটি পরিবার সুরক্ষিত হলে, সমাজ সুরক্ষিত হবে, সুরক্ষিত হবে পুরো দেশ।