রাসেল আহমেদ,খুলনা প্রতিনিধি
শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে তেরখাদা উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে বইছে উৎসবের উচ্ছ্বাস। সেই উৎসবের আমেজকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং খুলনা-৪ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী আজিজুল বারী হেলালের উপস্থিতি।
বুধবার (১ অক্টোবর) পূজা উপলক্ষে তিনি উপজেলার একাধিক মণ্ডপ পরিদর্শন করেন এবং ভক্ত ও আয়োজকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা সফরে আজিজুল বারী হেলাল শুধু শুভেচ্ছা জানিয়েই থেমে থাকেননি; তিনি খোঁজ নিয়েছেন পূজার সার্বিক ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও স্থানীয় সম্প্রীতির অবস্থা সম্পর্কেও। স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় করে দিয়েছেন ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক অনুদানও। তার এই আন্তরিক উপস্থিতি ও মানবিক উদ্যোগে মণ্ডপে ভক্তদের মুখে ফুটে ওঠে প্রশান্তির হাসি।
তিনি বলেন, “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার—এই দর্শনেই বিশ্বাস করে বিএনপি। আমরা এমন একটি সমাজ চাই, যেখানে প্রত্যেকে তার ধর্ম পালনে স্বাধীন এবং নিরাপদ থাকবে। পূজা হোক কিংবা ঈদ, এসব উৎসব যেন আমাদের জাতীয় ঐক্য ও ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠতে পারে।” আজিজুল বারী হেলালের সফরে সঙ্গে ছিলেন জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা—খান জুলফিকার আলী জুলু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, আতাউর রহমান রুনু, এনামুল হক সজল, আব্দুস সালাম মল্লিক।
আরও ছিলেন উপজেলা বিএনপির চৌধুরী কওছার আলী, চৌধুরী ফখরুল ইসলাম বুলু, এফএম হাবিবুর রহমান,মোল্লা মাহাবুবুর রহমান,সরদার আব্দুল মান্নান,সাজ্জাদ হোসেন নান্টা, শরীফ নাঈমুল হক,মিল্টন মুন্সী এবং আবুল হোসেন বাবু। সফরসঙ্গীদের মধ্যে ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সোহাগ মুন্সী, শামীম আহমেদ রমিজ, কৃষক দলের রাজু চৌধুরী, মো. সাবু মোল্লা, ফেরদাউস মেম্বার, রাজু শেখ, এসকে নাসির আহমেদ, আবুল বাশার, খান গিয়াস উদ্দিন, কামাল উদ্দিন লস্কর, আব্দুল হক শিকদার, আছাবুর ফকির, সোহেল শেখ ও সাব্বির হোসেন লিমন। ছাত্রদল, যুবদল, কৃষক দল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের শতাধিক নেতাকর্মীও এই সফরে অংশ নেন।
স্থানীয় পূজা কমিটির এক সদস্য বলেন, “হেলাল সাহেব শুধু শুভেচ্ছা জানাতে আসেননি, আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন। একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তার এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়।”
এদিকে মণ্ডপগুলোতে প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি স্থানীয়দের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসবের পরিবেশ ছিল শান্তিপূর্ণ ও মনোমুগ্ধকর। আজিজুল বারী হেলালের এই সফরকে কেন্দ্র করে তেরখাদা অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।