আসাদুজ্জামান, স্বরুপকাঠী প্রতিনিধিঃ
প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখার জন্য ভ্রমণপিপাসু মানুষ প্রতিনিয়ত ছুটে চলছে পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। যাদের কাছে টাকা বা শারীরিক কষ্ট কখনোই গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। শুধু একটাই ক্ষুদা আর তা হলো প্রকৃতির সান্নিধ্যে গিয়ে নিজের মনপ্রাণকে এর সৌন্দর্যে ভিজিয়ে নেয়া। যারা দেশের মধ্যেই খুঁজে পেতে চান ব্যাংককের ভাসমান বাজারের ছোঁয়া, চারদিকে শুধু নির্মল আনন্দ, তারা চোখ বুজে ঘুরে আসুন বৃহত্তর বরিশালের স্বরুপকাঠি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৩১টি ভাসমান বাজারে।
তিনটি বন্দর ও ২৮টি বাজার এর বেশির ভাগই কোনো না কোনো ছোট-বড় খালের পাশে অবস্থিত।আর এসব নদী বা খালের মধ্য থেকে নৌকা বা ছোট লঞ্চে ভ্রমণের সময় মনের মধ্যে গেয়ে উঠবে একি অপরূপ রূপে মা তোমার হেরিনু পল্লী জননী। সূর্য ওঠা থেকে শুরু করে রবি অস্ত পর্যন্ত চলে এসব হাটে বেচাকেনা। কোনটা মধ্যরাত পর্যন্ত আবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায় কোনটা।
আপনি এখানে দেখতে পাবেন পেয়ারার ভাসমান বাজার ছাড়াও, ধান, চাল, সবজি চারা, ফুলের চারা, ফলের চারা, বিভিন্ন ধরনের বনজি গাছের চারা, ধানের চারা, সবজি, মৌসুমি ফলের চারার ভাসমান বাজারসহ দেশের বৃহত্তম ভাসমান গোল কাঠের বাজার। আর এর সাথে বাড়তি আনন্দ হিসেবে থাকছে শুধুমাত্র নারীদের জন্য নৌকায় ভাসমান সবজির বাজার। নদীবেষ্টিত স্বরুপকাঠির ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা, এর মধ্যে সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নে ৩টি, সোহাগদল ইউনিয়নে ৩টি, বলদিয়া ইউনিয়নে ৬টি, দৈহারী ইউনিয়নে ৩টি, গুয়ারেখা ইউনিয়নে ৪টি, সারেংকাঠি ইউনিয়নে ১টি, আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নে ৩টি, জলাবাড়ি ইউনিয়নে ৩টি, সমুদয়কাঠি ইউনিয়নে ৪টি ও স্বরুপকাঠি পৌরসভায় ১টি বাজার রয়েছে।
প্রায় প্রতিটি বাজারের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে কোনো না কোনো নদী বা খাল আর এসব খাল বা নদীতেই চলে পাইকারি ও খুচরা কেনাবেচার কাজ।