শফিকুল ইসলাম সাফা, চিতলমারীঃ
বাগেরহাটের চিতলমারীতে বাগদা চিংড়ি ঘেরে ভাইরাসে আক্রান্ত করেছে ফলে সর্বশান্ত হতে বসেছে বাগদা চিংড়ি চাষিরা। এ পরিস্থিতিতে শত শত চাষিরা চরম হতাশায় ভুগছেন।ভাইরাস প্রতিরোধে কোন মেডিসিনে কাজ না করায় চাষিরা এখন ঘেরে হুজুর বা ওঝাঁ বৈদ্যের পানি পড়া, লাল পতাকা উড়িয়ে ভাইরাস প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন।
এলাকার চিংড়ি চাষিদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এ বছর ঘেরে বাগদা চিংড়িতে ব্যাপক ভাবে ভাইরাস দেখা দিয়েছে। কোন ভাবেই এটা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ভাইরাসে ঘেরের চিংড়ি ব্যাপক ভাবে মারা যাচ্ছে। এসব চাষিরা বিভিন্ন এনজিও, ব্যাংক ও দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অধিক মুনাফায় তারা টাকা এনে চিংড়ি চাষে ব্যয় করেছেন। এ অবস্থায় চরম হতাশায় ভুগছেন তারা। ভাইরাস রোধ করতে অনেকে ওঝাঁ- বৈদ্যের পরামর্শে পানিপড়া, লাল পতাকা উড়ানো ও বিভিন্ন ঔষধ প্রয়োগসহ নানাবিধ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এসবে কোন প্রতিকার হচ্ছে না।
উপজেলার পাড়ডুমুরিয়া গ্রামের সুভাষ মজুমদার, শ্রীরামপুর গ্রামের বিজয় বালা, মোঘনাথ বালা, অমল বৈরাগী, শেখর ভক্তসহ অনেকে জানান, তাদের ঘেরে ভাইরাস ব্যাপক ভাবে দেখা দিয়েছে। ভাইরাসের কারণে সর্বশান্ত হতে বসেছে তারা। কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না । নানা পরামর্শ নিয়ে ও কোন কাজে আসছে না। রাতারাতি ঘেরের চিংড়ি মারা যাচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য অফিসার সোহেল জিল্লুর রহমান রিগান জানান, এ বছর মোট ৬ হাজার ৮শ’ ৯০ হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫শ’ হেক্টর জমিতে বাগদা চাষ হয়েছে। চিংড়িতে যে ভাইরাসটি দেখা দিয়েছে এটি হোয়াইট স্পর্ট ভাইরাস। এটা চাষিদের অব্যবস্থাপনার কারণে হয়েছে। ঘেরে চিংড়ি পোনা ছাড়ার পূবে ভালো করে চুন প্রয়োগ ও জৈব নিয়মে চাষ করলে এ রোগ নিরাময় সম্ভব বলে পরামর্শ দেন তিনি।তবে এ ভাইরাস একবার দেখা দিলে তা কোন ওষুধে কাজ করেনা।