ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বাহিরদিয়া গ্রামে মসজিদের চাবি না দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বোয়ালমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সময় দুটি বাড়ি ও একটি দোকানে ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে লুৎফর রহমান ও ইমরান মোল্যার সঙ্গে মৌলভী হেমায়েত হোসেনের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সকালে মৌলভী হেমায়েত হোসেনের সমর্থকরা স্থানীয় মসজিদের দরজার চাবি নিতে গেলে নজরুল নামের এক ব্যক্তি তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
পরে স্থানীয় মাদরাসার আলেম, ওলামা এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দ ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করেন এবং উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। তবে শুক্রবার সকালে দুই পক্ষ ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে লাঠি-সোটা ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
ঘটনার পর পুরো এলাকা থমথমে অবস্থায় রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।