যশোর প্রতিনিধি
যশোরে সাম্প্রতিক সময়ে ‘মারণাস্ত্র’ হিসেবে ছুরির ব্যবহার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। গত ১৩ দিনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছুরিকাঘাতে অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন ১ জন। ছিনতাই, মাদক ব্যবসায় বাধা ও পারিবারিক শত্রুতা— এসব কারণেই মূলত এই ঘটনাগুলো ঘটছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ছুরিকাঘাতে নিহত ব্যক্তি হলেন সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের ডাকাতিয়া গ্রামের মধু গাজীর ছেলে চঞ্চল হোসেন (৩০)। জানা গেছে, ৯ অক্টোবর সকালে ইয়াবা বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় স্থানীয় রবিউল, মুন্না, বিল্লাল ও শাহজাহান মিলে মধু গাজী ও তার ছেলে চঞ্চলকে ছুরিকাঘাত করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চঞ্চল মারা যান। পুলিশ এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৩ থেকে ১২ অক্টোবরের মধ্যে যশোর শহর ও আশপাশে অন্তত ১৫টি ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
১২ অক্টোবর ষষ্টিতলা ও শেখহাটি এলাকায় সাজ্জাদ (২০) ও নয়ন (২২) নামে দুই যুবক ছুরিকাহত হন।
১১ অক্টোবর বউ বাজার ও দড়াটানায় ছুরিকাঘাতে আহত হন সোহাগ (২৫) ও বাবু (৩৮)।
৯ অক্টোবর বকচর এলাকায় ছিনতাইয়ের সময় হোটেল শ্রমিক শাকিল (২০) এবং পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধে মারুফ (২১) ছুরিকাহত হন।
৮ অক্টোবর রামনগর ইউনিয়নের কামালপুর সুতিঘাটায় স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার প্রতিবাদ করায় আব্দুল মালেক (৩৩) ও তার স্ত্রী রিনি খাতুন (২৮) ছুরিকাহত হন।
৬ অক্টোবর কাজীপুরে মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় সাকিব হোসেন (২৫) এবং একইদিন বারান্দীপাড়ায় রফিকুল ইসলাম (৩০) ছুরিকাহত হন।
৫ অক্টোবর বারান্দীপাড়ায় ইয়াবা বিক্রি নিষেধ করায় শফিকুল ইসলাম কবির (৩১) ছুরিকাঘাতে জখম হন।
৩ অক্টোবর কচুয়া ইউনিয়নের রায়মারীতে জমি দখল নিয়ে দুই ভাই মোশরাফ (৫২) ও হালিম (৪০) ছুরিকাহত হন।
স্থানীয়রা বলছেন, অপরাধীদের কাছে ছুরি এখন সবচেয়ে সহজলভ্য অস্ত্র। কিশোর গ্যাং থেকে শুরু করে উঠতি বয়সী তরুণরা নানা কারণে ছুরি ব্যবহার করছে, যা যশোরে এক ধরনের “অভ্যাসে” পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আবুল বাশার বলেন, “বেশিরভাগ ছুরিকাঘাত পারিবারিক বিরোধ বা শত্রুতাজনিত। ছিনতাই বা সংঘবদ্ধ সন্ত্রাস এখন অনেক কমে এসেছে। তবু ছুরির অবাধ ব্যবহার ঠেকাতে পুলিশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে।”
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.