স্টাফ রিপোর্টার নড়াইল
নড়াইল-১আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতা বি এম কবিরুল হক মুক্তি কে নাশকতা ও সহিংসতার চারটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে কালিয়া থানার দু’টি নাশকতা মামলায় মুক্তি কে প্রথমে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হয়।
আদালতের বিচারক রঞ্জন সাহা তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এরপর নড়াগাতী থানায় দায়েরকৃত আরো দু’টি নাশকতা মামলায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে নেয়া হয়। এই আদালতেও জামিন না মঞ্জুর করে মুক্তি কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক মারুফ হাসান। দুপুরে নড়াইলের আমলী আদালতের দুই বিচারক এই আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নড়াগাতি থানার জি আর মামলা নম্বর ৬১/২৪ ও ৬৩/২৪ এবং কালিয়া থানার জি আর মামলা নম্বর ১২৪/২৪ ও ১৪৩/২৪ এই চারটি মামলায় মুক্তি কে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে জানান, এসব মামলার তদন্তের স্বার্থে বি এম কবিরুল হক মুক্তিকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মামলার প্রাথমিক তথ্য ও প্রমাণ পর্যালোচনা করে তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে সাবেক এমপি মুক্তি কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়,বুধবার সকালে আদালতে হাজির করার জন্যই তাকে ঢাকা থেকে আনা হয়। নড়াইল জেলার বিভিন্ন থানায় দায়ের করা নাশকতা ও সহিংসতার মামলা গুলোতে নিয়মিত হাজিরা দেয়ার প্রয়োজন ছিল। এজন্য কারা কর্তৃপক্ষ ও জেলা পুলিশের সমন্বয়ে তাকে নড়াইলে আনা হয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর নিকেতন এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বি এম কবিরুল হক মুক্তি কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর থেকেই তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।
বি এম কবিরুল হক মুক্তি নড়াইলের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালের দশম, ২০১৮ সালের একাদশ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হন।
নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।