শিক্ষা ক্যাডার নিয়োগে ৪৯তম বিশেষ বিসিএসে রেকর্ডসংখ্যক চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেও অংশ নেননি। এ পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার প্রায় ৪১ শতাংশ। আবার অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্য থেকে উত্তীর্ণের হারও খুবই কম। মাত্র ০.৬৯ শতাংশ প্রার্থী এতে উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে বিশেষ এ বিসিএসের ফল প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ফল বিশ্লেষণে এ তথ্য পাওয়া যায়।
পিএসসি সূত্র জানায়, ৪৯তম বিশেষ বিসিএসে আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ১২ হাজার ৭৫২ জন। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭০ জন। বাকি ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮২ জন প্রার্থী এ বিসিএসে আবেদন করেও অংশ নেননি। অর্থাৎ, আবেদন করেও পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া হার প্রায় ৪১ শতাংশ।
এদিকে, ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭০ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিলেও উত্তীর্ণ হয়েছেন মাত্র ১ হাজার ২১৯ জন। বিষয়ভিত্তিক ৬৮৩টি পদের বিপরীতে তাদের উত্তীর্ণ করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মাত্র ০.৬৯ শতাংশ প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন, যা খুবই কম।
পিএসসির কর্মকর্তারা বলছেন, বিশেষ বিসিএসে সরাসরি পদ্ধতিতে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। শুধু এমসিকিউ টাইপের লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। দ্রুত শেষ করার একটা তাড়া থাকে। এজন্য লিখিত পরীক্ষায় কমসংখ্যক প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করা হয়, যেন দ্রুত মৌখিক পরীক্ষা বা ভাইভা শেষ করা যায়।
তবে ঠিক কী কারণে আবেদন করেও ১ লাখ ৩৬ হাজার চাকরিপ্রার্থী এ বিসিএসে অংশ নেননি, তার কারণ বলতে পারছেন না কেউ। পিএসসির পরীক্ষা শাখার (ক্যাডার) একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজকে বলেন, ‘এতসংখ্যক প্রার্থী কেন অংশ নিলো না, তা বুঝতে পারছি না। অনুপস্থিতির হার বেশি। আবার এমনও হতে পারে যে, আবেদন ফি মাত্র ২০০ টাকা করায় অনেকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও আবেদন করেছেন। কিন্তু অংশ নেননি।’
গত ১০ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৯তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ টাইপ) অনুষ্ঠিত হয়। শুধু ঢাকা মহানগরে এ পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল।
এদিকে, এমসিকিউ টাইপের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের পর ৬ কর্মদিবসের মধ্যে ফল প্রকাশ করেছে পিএসসি। এবার দ্রুত মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে এ বিসিএসে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। এজন্য আগামী ২ নভেম্বর থেকে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পিএসসি।