মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল (এডিবি) থেকে ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদের বিরুদ্ধে। প্রকল্পের কাগজপত্রে কাজ সম্পন্ন দেখানো হলেও, বাস্তবে এসব প্রকল্পের কোনো অস্তিত্বই মেলেনি।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিবি তহবিল থেকে প্রসাদপুর বাজারের গোলচত্বর সংস্কারের জন্য ৫ লাখ এবং পাঁজরভাঙা বাজারে নতুন গোলচত্বর নির্মাণের জন্য ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়েছে। উপজেলা এলজিইডি অফিসের তালিকায় প্রকল্প দুটি যথাক্রমে ৩৪ ও ১৪৫ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সংশ্লিষ্ট দুই স্থানে কোনো ধরনের উন্নয়ন কাজ হয়নি। প্রসাদপুর বাজারের স্থানীয় বাসিন্দা রকিবুল ইসলাম বলেন, “গোলচত্বরে তেমন কোনো কাজ হয়নি। শুধু কিছু পুরনো পোস্টার পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে দেখা গেছে। তবে ৫ লাখ টাকার সংস্কার কাজের কোনো চিহ্ন নেই।”
অন্যদিকে, পাঁজরভাঙা বাজারের বাসিন্দা আল আমিন জানান, “এখানে কোনো গোলচত্বরই নেই। নির্মাণ কাজ তো দূরের কথা, প্রকল্পের অস্তিত্বই পাওয়া যায় না।”
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রসাদপুর গোলচত্বরের কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে এবং পাঁজরভাঙা গোলচত্বর নির্মাণ আরএফকিউ পদ্ধতিতে দেখানো হয়েছে। তবে প্রকল্প দুটি কে বাস্তবায়ন করেছে সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি কর্মকর্তারা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদ বলেন, “টেন্ডারের পর রেজুলেশনের মাধ্যমে কাজ পরিবর্তন করা হয়েছে। বর্তমানে আমি ঢাকায় প্রশিক্ষণে আছি। সাক্ষাতে বিস্তারিত জানানো হবে।” এ কথা বলেই তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী বলেন, “প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকলে কাজটি বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। বিষয়টি আমার জানা নেই। দ্রুত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
চলতি অর্থবছরে এডিবি তহবিলের প্রকল্পে এ ধরনের অনিয়ম প্রকাশ পাওয়ায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।