Nabadhara
ঢাকাশুক্রবার , ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খুলনায় নতুন জেলা কারাগারে শুরু হচ্ছে বন্দী স্থানান্তর

রাসেল আহমেদ,খুলনা প্রতিনিধি
অক্টোবর ২৪, ২০২৫ ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

রাসেল আহমেদ,খুলনা প্রতিনিধি

খুলনার নতুন আধুনিক জেলা কারাগারের বন্দী স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে। জেলা কারাগারের জেলা মুনীর হোসাইন জানিয়েছেন, আগামী শনিবার (২৫ অক্টোবর) প্রথম ধাপে ১০০ বন্দী নতুন কারাগারে স্থানান্তরিত হবেন।

মুনীর হোসাইন বলেন, “সবকিছু ঠিক থাকলে শনিবার স্থানান্তর শুরু হবে। প্রশাসনিক জটিলতা থাকলে এক-দুই দিন পিছিয়ে যেতে পারে। প্রথম ধাপে আমরা ১০০ বন্দী নতুন আধুনিক কারাগারে নেওয়ার কাজ শেষ করব। পরে ধাপে ধাপে অন্যান্য বন্দীরাও স্থানান্তরিত হবেন।”

কারা সূত্র জানায়, নতুন কারাগারের কার্যক্রম শুরু হলেও পুরনো কারাগারও কার্যক্রম চালু থাকবে। নতুন কারাগার জেলা কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে কাজ করবে, আর পুরনো কারাগার ঘাট এলাকায় মেট্রোপলিটন কারাগার হিসেবে পরিচালিত হবে। সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী খুলনায় দুইটি কারাগার আলাদা আলাদাভাবে কার্যক্রম চালাবে।

মুনীর হোসাইন আরও জানান, “নতুন কারাগারে বন্দীর চাপ কমে যাবে। এখনও মাটি ভরাট কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। কিছু ছোটখাটো কাজ বাকি আছে। তবে আশা করছি শীঘ্রই কাজগুলো শেষ হবে। বর্তমানে খুলনার কারাগারে ১৪শ’র বেশি বন্দী রয়েছেন। কিছু বন্দী স্থানান্তর করলে চাপ কমবে।”

নগরীর ভৈরব নদের তীরে ১১৩ বছরের পুরনো খুলনা কারাগারে বর্তমানে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দী থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকতে হচ্ছে বন্দীদের। তাই সিটি বাইপাস সড়কের জয়বাংলা মোড়ে প্রায় ৩০ একর জমিতে গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে নতুন কারাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে সর্বাধিক ৪ হাজার বন্দী রাখা যাবে, আপাতত ২ হাজার বন্দীর জন্য অবকাঠামো তৈরি হয়েছে।

প্রকল্প ২০১১ সালে একনেকে অনুমোদিত হয়। পরে ২০১৭ ও ২০২৩ সালে সংশোধন করা হয়েছে। ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২৫১ ও ২৮৮ কোটি টাকা। মোট আটবার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।

নতুন কারাগার সংশোধনাগার হিসেবে নির্মাণ করা হচ্ছে। বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত বন্দী আলাদা থাকবে। কিশোর-কিশোরী, নারী ও পুরুষ বন্দীদের জন্য পৃথক ব্যারাক, হাসপাতাল, মোটিভেশন সেন্টার, ওয়ার্ক শেড ও বিনোদনকেন্দ্র থাকবে। নারীদের সন্তানদের জন্য ডে-কেয়ার ও শিক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। বন্দীরা হস্তশিল্প, খেলাধুলা ও নামাজসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে।

কারা সূত্র জানায়, প্রতিটি ব্যারাকের চারপাশে আলাদা সীমানাপ্রাচীর রয়েছে। এক শ্রেণির বন্দী অন্য শ্রেণির সঙ্গে মেশার সুযোগ পাবেন না। কারাগারে রয়েছে প্রায় ৫ কিলোমিটার প্রাচীর, ড্রেন, ফুটপাত, পয়োবর্জ্য শোধনকেন্দ্র, ওয়াকওয়ে, দুটি পুকুর এবং সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা। তবে কিছু কাজ এখনও অসম্পূর্ণ।

গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাশিদুল ইসলাম বলেন, “কারাগারে ৫২টি স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। কিছু কাজ বাকি রয়েছে এবং দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। করোনার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছু বিলম্ব হয়েছে।”

নতুন কারাগার কার্যক্রম শুরু হলে বন্দীরা নিরাপদ, আধুনিক ও সুসংগঠিত পরিবেশে থাকবে এবং পুরনো কারাগারের বন্দীর চাপও কমে যাবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।