নাজিম বকাউল, ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এ কে আজাদের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী চৌধুরী নায়াব ইউসুফকে জড়িয়ে দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে বিএনপি বিক্ষোভ মশাল মিছিল করেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুর মহানগর ৬, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এই মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল থেকে এ কে আজাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয় এবং তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। এতে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মী অংশ নেন।
বিক্ষোভ মশাল মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মহিম স্কুলের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিনাল, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল বিশ্বাস তরুণসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা এ কে আজাদ ও তার আওয়ামী লীগের দোসরদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান এবং জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নায়াব ইউসুফকে জড়িয়ে দেওয়া ‘ভিত্তিহীন’ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান। এছাড়া আগামী ১লা নভেম্বর শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সমাবেশে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
জানা যায়, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত রবিবার বিকেলে ফরিদপুর সদরের পরমানন্দপুর বাজারে গণসংযোগের সময় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা এ কে আজাদকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ বলে স্লোগান দিতে থাকলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এতে ডিবি পুলিশের একটি গাড়ি এবং এ কে আজাদের বহরের একটি গাড়ির কাঁচে আঘাত করা হয়।
এরপর থেকে এ কে আজাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে হামলার জন্য চৌধুরী নায়াব ইউসুফ ও যুবদলের নেতাকর্মীদের দায়ী করেন। এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদে ফরিদপুরে বিএনপি ও যুবদল কয়েকদিন ধরে মশাল মিছিল, বিক্ষোভ মিছিল, সংবাদ সম্মেলনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে। এছাড়া বুধবার প্রেসক্লাবে ছাত্র-জনতা প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে।

