নবধারা ডেস্ক
বাংলাদেশে অন্যতম জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর ফল হলো কলা। সারা বছরই পাওয়া যায় এই ফলটি। শুধু সুস্বাদুই নয়, কলার রয়েছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা। আবার কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে।
কোলার উপকারীতা, কলা শরীরে শক্তি যোগায় এবং দ্রুত ক্লান্তি দূর করে। এতে রয়েছে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার, যা হজমে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সকালে একটি কলা খেলে দিনভর কর্মক্ষমতা বজায় থাকে।
পাকস্থলীর আলসার বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় কলা উপকারী। খেলাধুলার পর হারানো শক্তি ফিরে পেতে কলা খুব কার্যকর। মানসিক চাপ কমাতেও সহায়তা করে এই ফলটি।
কোলার অপকারীতা, যদিও কলা উপকারী, তবে অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতি হতে পারে।
বেশি কলা খেলে রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা হৃদযন্ত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশি কলা খাওয়া বিপজ্জনক, কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি।
অতিরিক্ত কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
বাংলাদেশে কলার বিভিন্ন জাত ও তার বৈচিত্র
বাংলাদেশে প্রায় ৩০টির বেশি জাতের কলা পাওয়া যায়। এর মধ্যে কয়েকটি জনপ্রিয় জাত হলো, সাগর কলা সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত, মিষ্টি ও নরম। চাঁপা কলা – ছোট আকারের কিন্তু স্বাদে অনন্য,সবরি কলা – রসালো ও সহজে হজমযোগ্য। বউ কলা (বোমা কলা) – বড় আকারের, সাধারণত অতিথি আপ্যায়নে ব্যবহৃত।কাঠালি কলা – গন্ধযুক্ত ও তুলনামূলক শক্ত, রান্নায়ও ব্যবহৃত হয়। আশ্মানি কলা, মেহার কলা, শোভাবান কলা অঞ্চলভেদে জনপ্রিয় স্থানীয় জাত।
কলা বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হয় এই ফল।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ পুষ্টিবিদরা বলেন, প্রতিদিন ১-২টি কলা খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। তবে ডায়াবেটিস বা কিডনি রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত।

