ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণ করে একটি ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার চাচা আল মামুন (২৮) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। দুই সন্তানের পিতা হয়েও এমন জঘন্য কাজ করায় মামুনের শাস্তির দাবিতে আদালতে মামলা করেছেন ভিকটিমের পরিবার।ঘটনাটি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউপির চাপিলাকান্দা গ্রামের মো. আঃ সালামের ছেলে মামুনের বিরুদ্ধে।
মামলার অভিযোগকারী বড় ভাই জানান, অভিযুক্ত আল মামুন একজন চরিত্রহীন ও লম্পট প্রকৃতির লোক। আমার বোন মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে আল মামুন মেয়েটিকে কেনাকাটা করে দিবার কথা বলে অটোরিকশায় তুলে ঈশ্বরগঞ্জ বাজার নিয়ে যায়।
অভিযোগপত্রে জানা যায় মামুন ভিকটিমকে জয়পুরহাটে নিয়ে গিয়ে একটি বাসায় রাখে এবং সেখানে খুন-জখমের ভয় দেখিয়ে তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। দীর্ঘ ১৫ দিন পর সে ছাত্রীকে ঈশ্বরগঞ্জের সোহাগী বাজারের কাছে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, আমাকে দীর্ঘদিন আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতন করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত মামুনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সে জানায়, ‘বিষয়টি ঘরোয়াভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে’।
এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নেওয়ায়, ভিকটিমের পরিবার অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। অভিযুক্ত আল মামুনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত/২০২৫) এর ৭ (অপহরণ) ও ৯(১) (ধর্ষণ) ধারায় একটি পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুর রহমান বলেন ভিকটিম হারিয়ে গেছে বলে একটি অভিযোগ করেছিলো মেয়ের বাবা। অভিযোগ দেয়ার পরের দিন উনি ফোন দিয়ে মেয়ে ফিরে আসার কথা জানান। তবে তারা থানায় মামলা করতে আসেনি

