মনিরামপুর (যশোর)প্রতিনিধি
যশোরের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনে ভবদহ অঞ্চলের পাঁচটি নদীর পুনঃখনন কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে যশোরের ভবদহ স্লুইসগেট এলাকায় ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ প্রকল্পে মোট ৮১.৫ কিলোমিটার নদী পুনঃখনন করা হবে। এর আওতায় হরিহর নদী (৩৫ কিমি), হরি-তেলিগাতি নদী (২০ কিমি), আপারভদ্রা নদী (১৮.৫ কিমি), টেকা নদী (৭ কিমি) ও শ্রী নদী (১ কিমি) খনন করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মামুন উর রশিদ, বাপাউবোর প্রকল্প পরিচালক বি.এম. আব্দুল মোমেন, মেজর গাজী নাজমুল হাসান, নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী, মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না, অভয়নগরের ইউএনও শেখ সালাউদ্দীন দিপু, কেশবপুরের ইউএনও রেক্সনা খাতুনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) ও সেনাবাহিনীর মধ্যে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর আগে ভবদহের আমডাঙ্গা খাল খনন ও বেড়িবাঁধ নির্মাণে ৪৯ কোটি টাকার অনুমোদন দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
ভবদহ পানি নিস্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, “জলাবদ্ধতা নিরসনে টিআরএম চালু না হলে খনন প্রকল্প ব্যর্থ হবে। তবে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কাজ হওয়ায় এবার কিছুটা আশার আলো দেখা দিয়েছে।”
পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী জানান, “নদী খনন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। হরিহর ও টেকা নদীর নাব্যতা ফিরলে ভবদহ অঞ্চলের দুর্ভোগ অনেকটাই লাঘব হবে।”
চার দশকেরও বেশি সময় ধরে যশোর ও খুলনার ভবদহ অঞ্চল জলাবদ্ধতায় ভুগছে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের মানুষ স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

