কোটালীপাড়া প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের বর্ষাপাড়া গ্রামে গত ১বছরে ৫টি সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষ থেকে কোটালীপাড়া থানা ও আদালতে ১৫টি মামলা করা হয়েছে। আসামী হয়েছেন উভয় পক্ষের প্রায় শতাধিক মানুষ।
জানাগেছে, এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বদিউজ্জামান বিশ্বাসের সাথে মামুনুর রশীদ সিকদারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে চলতি বছরের মে মাসে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সেই সংষর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ১০জন গুরুতর আহত হয়। ভাংচুর করা হয় ৩০টি বসতঘর। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থেকে কোটালীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
এই মামলায় মামুনুর রশীদ সিকদারের লোকজন গ্রেফতারের ভয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। গত বুধবার মামুনুর রশীদ সিকদারের লোকজন আদালত থেকে জামিনে এসে প্রতিপক্ষ মুনসুর আলী মোল্লা, নিজামুল হক মোল্লা, সরফত হোসেন মোল্লা, মোশারফ হোসেন মোল্লা, মহর শেখ,রাজা শেখ, নাজমুল শেখের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বদিউজ্জামান বিশ্বাস।
তিনি বলেন, গত ১ বছরে ৫বার মামুনুর রশীদ সিকদারের লোকজন আমার ভাই ব্রাদার ও আত্মীয় স্বজনের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। মেরে আহত করেছে প্রায় অর্ধশত ব্যক্তিকে। এ ঘটনাগুলোতে আমাদের পক্ষ থেকে কোটালীপাড়া থানা ও আদালতে ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় এরা জামিনে এসে গত বুধবার আমাদের লোকজনদের উপর ব্যাপক তান্ডবলীলা চালিয়েছে।
মুনসুর আলী মোল্লার স্ত্রী বিলকিস বেগম বলেন, কোন কারণ ছাড়াই মামুনের লোকজন আমাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। হামলাকারীরা আমাদের জীবনযাপনের জন্য কিছুই রেখে যায়নি। এ ঘটনায় আমরা কোটালীপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে মামুনুর রশীদ সিকদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বদিউজ্জামানের লোকজন আমাদের লোকজনের উপর বিভিন্ন সময়ে হামলা চালিয়েছে।
এলাকার ইউপি সদস্য লায়েকুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, এই দুই পক্ষের বিরোধ নিস্পত্তির জন্য কোটালীপাড়া উপজেলার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একাধিকবার শালিস বৈঠক হয়েছে। শালিস বৈঠকের কিছুদিন যেতে না যেতেই এরা আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আমরা এই বিরোধের নিস্পত্তি চাই। আমরা চাই এলাকার মানুষ সুখে শান্তিতে মিলেমিশে বসবাস করুক।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, গত মে মাসে আমি এই থানায় যোগদান করেছি। যোগদানের কয়েকদিন পরেই বর্ষাপাড়া গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষের একটি ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দু’পক্ষ কোটালীপাড়া থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন। গত বুধবার আবার দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।