Nabadhara
ঢাকাশনিবার , ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দৌলতপুরে অনুষ্ঠিত হলো গাদন খেলা প্রতিযোগিতা

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
অক্টোবর ২৫, ২০২৫ ১১:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অনুষ্ঠিত হলো গাদন খেলা প্রতিযোগিতা। গাদন খেলা গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ এবং এটি একটি প্রাচীন খেলাও বটে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বিনোদন ও সংস্কৃতিরও অংশ এ খেলা।

কিশোর ও যুব সমাজের মানষিক শক্তি বিকাশ এবং মাদক থেকে দুরে রাখতে সহায়তারও অন্যতম একটি মাধ্যম গাদন খেলা। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে শনিবার বিকেলে দৌলতপুর উপজেলার আদাবড়িয়া ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন ধর্মদহ গ্রামের মালিথাপাড়ায় অনুষ্ঠিত হলো এ খেলার চুড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতা।

খেলার একপাশে ছিল অতিথিদের আসন। আর মাঠের চারদিকে টানানো দড়ির সঙ্গে রঙ- বেরঙের কাগজ লাগিয়ে সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়। দড়ির বাইরে চারদিকে ভিড় করে খেলা উপভোগ কয়েক হাজার দর্শক। খেলায় দুই দলে বিভক্ত হয়ে ১০ জন খেলোয়াড় অংশ নেয়। এক দল ঠেকায়, আর অপরদল ঝোলাঝুলি করে প্রতিপক্ষকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে। এমন ঝুল পাড়াপাড়ি দেখে আনন্দ উপভোগ করে দর্শকরা, সেইসাথে করতালি দিয়ে খেলোয়াড়দের উৎসাহ যোগায়।

একসময় এই খেলা ছিল গ্রামীণ জনগোষ্ঠী ও খেটে খাওয়া মানুষের বিকেল বেলার অবসরের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু কালের আবর্তে খেলাটি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরতে ধর্মদহ গ্রামে আয়োজন করা হয় গাদন খেলার প্রতিযোগিতা।

এ খেলা দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন সব বয়সের অসংখ্য দর্শক। ধর্মদহ মালিথাপাড়া তরুণ সংঘ এ খেলার আয়োজন করে। বিভিন্ন এলাকার ১৬টি দল খেলায় অংশ নেয়। গতকাল শনিবার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার নওপাড়া তরুন সংঘ এবং ব্রজপুর তরুন সংঘ অংশ গ্রহন করেন। খেলায় ৩-২ পয়েন্টে ব্রজপুর বিজয়ী হয়।

পরে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে অতিথিবৃন্দ খেলায় অংশ নেয়া দুইদলের খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন। খেলা দেখতে আসা রবিউল ইসলাম নামে এক দর্শক বলেন, ২৫-৩০ বছর আগেও এই গ্রামে গাদন, লাঠি খেলা, হাডুডু, ফুটবলসহ নানা ধরণের খেলা হতো। আমি নিজেও গাদন খেলেছি। এখন আর এসব খেলা দেখা যায় না।

রেজাউল ইসলাম অপর এক দর্শক বলেন, এখনকার ছেলেরা মাঠে আসলেও খেলাধুলা করে না। মোবাইল নিয়েই ব্যস্ত থাকে। মাঠে খেলাধুলা করলে শরীর ও মন ভালো থাকে।

গাদন খেলার আয়োজক রাশিকুর রহমান বলেন, হারানো ঐতিহ্যকে যুব সমাজের মাঝে ফিরিয়ে আনতে এবং মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে গাদন খেলার আয়োজন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এ খেলার আয়োজন করা হবে। তবে গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্য ফিরে আনতে প্রয়োজন গাদন খেলা, লাঠি খেলা, হাডুডু খেলা ও ফুটবল খেলার নিয়মিত আয়োজন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।