Nabadhara
ঢাকারবিবার , ২৬ অক্টোবর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মান্দায় স্বামীর নাম মিল থাকায় প্রবাসীর স্ত্রীকে পুলিশের হয়রানি

সাজ্জাদুল তুহিন, মান্দা (নওগাঁ)
অক্টোবর ২৬, ২০২৫ ৯:৪১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সাজ্জাদুল তুহিন, মান্দা (নওগাঁ)

নওগাঁর মান্দায় শুধু স্বামীর নামের এক অংশ মিল থাকায় দুবাই প্রবাসীর স্ত্রীকে আটক করে আদালতে চালান দিয়েছে পুলিশ। এমন এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার জন্ম দিয়েছে মান্দা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানা।

 

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার কালিগ্রাম দৌডাঙ্গী গ্রামের বাবুল আলী ও তার স্ত্রী সামেনা বেগমের নামে ব্যাংকের দায়ের করা মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে। সেই মামলার আসামি বাবুল আলী ও সামেনা বেগমকে আটক না করে দুবাই প্রবাসী বাবুল হোসেনের স্ত্রী লাবনী বেগমকে আটক করে পুলিশ। গত ১৪ অক্টোবর লাবনী বেগমকে তার ভাই মোজাহারুল ইসলামের কুসুম্বা ইউনিয়নের বড়পই গ্রামের বাড়ি থেকে এএসআই সোহেল রানা আটক করে। সে সময় তারা পুলিশকে বার বার বলেন তার নাম লাবনী বেগম। সে সামেনা নয়। তার স্বামী প্রবাসী বাবুল হোসেন। তারা ভুল আসামি ধরতে এসেছে। এরপরও পুলিশ কোনো কথা না শুনে উগ্রতার সঙ্গে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। থানায় লাবনীর বড় ভাই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গেলে তাকে পাত্তা না দিয়ে থানা থেকে পাঠিয়ে দেন। তারপর পুলিশ লাবনী বেগমকে দ্রুত আদালতে নিয়ে যান । এরপর আদালতে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখালে লাবনীকে তার ভাই মোজাহারুল ইসলামের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।

 

পুলিশের এমন ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন লাবনী ও তার পরিবার। লোকলজ্জায় ঘর হতে বের হতে পারছেন না তারা‌।

 

ভুক্তভোগী লাবনী বেগম বলেন, সকাল সাড়ে ছয়টার সময় সোহেল দারগা এসে গেটে সিটকি তুলে দেন। আমরা বললাম গেটে সিটকি দিয়েছেন কেন? পুলিশ বলে বাড়িতে আসামি আছে- নাম সামেনা আক্তার লাবনী। কিন্তু আমার নাম তো শুধু লাবনী বেগম আর স্বামীর নাম বাবুল হোসেন। নাম তো মেলেনি। এরপর আমার ভাই অনেক জেরা করেছেন পুলিশকে। তারপরও আটক করে থানায় নিয়ে গেছে তারা। সেখানেও আমার নাম মেলেনি। থানায় দারগা আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। এরপর আদালতে চালান দিয়েছেন। আদালতে গিয়েও কোনো কিছুই মেলেনি। আমার নামে কোনো মামলা নেই। এরপর আমাকে আদালত থেকে ফেরত নিয়ে এসেছেন আমার ভাই। এ ঘটনায় আমার মানসম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। টাকা-পয়সাও খরচ হয়েছে। কোনো কারণ ছাড়া আমাকে আটক করায় পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ চাই।

 

লাবনীর ভাই মোজাহারুল ইসলাম বলেন, আমার বোন-জামাই বিদেশে থাকেন। সকালে এএসআই সোহেল বাড়িতে আসে আমার বোনকে ধরতে। ওয়ারেন্টের একটা কাগজ দেখায় সেখানে নাম ছিল সামেনা। আমি বলেছি আমার বোনের নাম লাবনী। শুধু টাকার জন্য তিনি নিজে সামেনার নামের পাশে লাবনী লেখে আমার বোনকে থানায় নিয়ে যান। পরে আমি আমার বোনকে জামিন করে নিয়ে আসি।

 

এএসআই সোহেল বলেন, তারা আমাকে বলেনি যে তিনি সামেনা না লাবনী। আমি তাকে বলেছি আর সে ঘোমটা দিয়ে থানাতে চলে এসেছে। তার ভাই তদন্ত ওসির সঙ্গে কথা বলেছেন ২৫ হাজার টাকা নিয়ে এসেছেন। তখনো কিছু বলেননি তারা। যদি একবার আমাকে বলত আমি তাকে ধরতাম না। এরপর তার স্পষ্ট বক্তব্য জানতে চাইলে ফোনের সংযোগ কেটে দেন তিনি।

 

মান্দা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল্লা আল মাহমুদ বলেন, আমি গত ১১ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত ট্রেনিংয়ে ছিলাম। বিষয়টি জেনে যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার নিব।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।