মোঃ আলমগীর মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারের উপর প্রাইভেট ক্লিনিকের মালিকের হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত রোগী দেখছিলেন আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ কামরুল হাসান। এ সময় একটি প্রাইভেট হাসপাতাল আনন্দ মেডিকেলের মালিকের ছেলে শিহাব কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে হাসপাতালে এসে ডাক্তার কামরুল হাসানকে খুঁজে নামধরে গালাগাল ও চেচামেচি করছিল। এ সময় ডাঃ কামরুল হাসানকে মারধর করার জন্য শিহাব বিভিন্ন রোমে খুঁজতে থাকে। বিষয়টি টের পেয়ে আত্মরক্ষার্থে ডাঃ কামরুল হাসান ২য় তলায় উঠে একটি রোমে ডুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে উপস্থিত জনতা শিহাবকে ফিরিয়ে দেয়। শিহাব সরাইল আনন্দ মেডিকেল হল নামক একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের মালিকের ছেলে। শিহাব নিজেই এই ক্লিনিকের দেখাশুনা করেন।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীসহ ডাঃ কামরুল হাসান বলেন, শিহাব কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে আমাকে হামলা করার উদ্যেশ্যে হাসপাতালের বিভিন্ন রোমে আমাকে খুজঁতে থাকে ও আমাকে মারধর করার ঘোষনা দেয়। গত কয়েকদিন আগে একজন দালালের সাজা দেয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি আনন্দ মেডিকেলের দালাল হওয়ায় আমার উপর আক্রোশ বসত আজকের ঘটনা ঘটায় তারা।
সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নিজাম উদ্দিন বলেন, বহিরাগতদের দ্বারা এ ঘটনা আমি আরএমও’র কাছে শুনেছি। প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে অবগত করব। এছাড়াও আপনারা জানেন এ হাসপাতালে দালালদের আনাগুনা রয়েছে। দালালের ধরার জন্য ইউএনও মহোদয়ের নেতৃত্বে মোবাইল টিম কাজ করছে। এটা নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আসলে দালালদের ধরার জন্য মোবাইল কোর্ট একটি চলমান প্রক্রিয়া এটা সব সময় চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে শিহাবের মুঠোফোনে কয়েকবার কল করলে শিহাব ফোন ধরছেন না।

