ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে হিসাব রক্ষণ কার্যালয়ের সাবেক অডিটর আবুল ফজল মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে দুর্নীতি মামলায় পৃথক দুইটি ধারায় তিন বছর করে মোট ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে আরো দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত।
বুধবার ( ২৯ শে অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্পেশাল জজ মো. শরীফ উদ্দীন মামলার রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষণার সময় সাবেক হিসাবরক্ষক আবুল ফজল মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি মহল্লার আব্দুল করিম মিয়া সড়কের একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। তিনি জেলার ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নের শেখপুরা গ্রামের বাসিন্দা ও ফরিদপুর হিসাব রক্ষণ কার্যালয়ের সাবেক হিসাবরক্ষক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চাকরিকালীন সময়ের ২০১৬-১৭ অর্থ বছর থেকে ২০২০-২১ অর্থ বছরের মধ্যে দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৯২১ টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে এ ব্যাপারে ২০২২ সালের ৩ অক্টোবর দুদক ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম বাদী হয়ে তার নামে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন। তদন্ত করেন দুদক ফরিদপুরের সহকারি পরিচালক সরদার আবুল বাসার।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ৪১ লাখ টাকার দুর্নীতির মামলায় তিনি মাত্র ১০ হাজার টাকার উৎস দেখাতে পারেন। বাকী টাকার উৎস দেখাতে না পারায় আদালত দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত বাকী সমস্ত অর্থ (৪১ লাখ ১৫ হাজার ৯২১ টাকা) সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং একই আইনের ২৭(১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে দুদক, ফরিদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিদর্শক মো. শামীম জানান, আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।

