মোল্লাহাট(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ
ইউরোপীয়ানইউনিয়ন এর সহায়তা ও কনসার্ন ওয়াল্ডর্ ওয়াইড-এর নেতৃত্বে এবং উন্নয়ন সংস্থা জেজেএস এর উদ্যোগে‘পুষ্টি উন্নয়নে অংশ গ্রহণ মূলক সমন্বিত প্রকল্প’(ঈজঅঅওঘ)এর আওতায় মোল্লাহাট উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রকল্পের উপকার ভোগীদের বসত বাড়ীর আঙ্গীনায় সবজিচাষ ও এবং হাঁস-মুরগী পালন বিষয়ক প্রশিক্ষনের উদ্বোধন হয়। শনিবার(২১আগষ্ট) সকাল ১০ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও উপজেলা পুষ্টি সমন্বয়ক কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ বিপ্লব কান্তি বিশ^াস প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষনের শুভ সূচনা করেন। প্রেসক্লাব মোল্লাহাট এর সাধারণ সম্পাদক এম এম মফিজুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহিনুর ইসলাম শাহিন ও প্রচার সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান মোল্লা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক দীলিপ বিশ্বাস এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষনের উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথি ডাঃ বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, ক্রেইন প্রকল্পের আওতায় মোল্লাহাট উপজেলায় গত বছরের শুরু থেকে এলাকার সুবিধা বঞ্চিত মা ও শিশুদের পুষ্টি উন্নয়নে কাজ চলছে। পুষ্টি কি?, এর প্রয়োজনীয়তা, পুষ্টির উৎস, এলাকায় পুষ্টির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি বাড়ির আঙ্গীনায় অধিক পরিমানে শাক-সবজি চাষ ও হাঁস-মুরগী পালনের মাধ্যমে পরিবারের পুষ্টি নিশ্চিত করা ও আর্থিক উন্নয়ন করার জন্য প্রশিক্ষনার্থীদের আহবান জানান। বিশেষ অতিথি প্রেসক্লাব মোল্লাহাট এর সাধারণ সম্পাদক এম এম মফিজুর রহমান বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য পুষ্টি অত্যন্ত অপরিহার্য একটি বিষয়। পুষ্টি ছাড়া মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেনা। বাড়ির অঙ্গীনার প্রতিটি জায়গায় পরিকল্পিত ভাবে শাক-সবজি চাষ ও হাাঁস-মুরগী পালন করে পরিবারের প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিতের অনুরোধ জানান। ২১ আগষ্ট ২০২১ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত প্রতিদিন ১০টি করে মোট ১৫২ ব্যাচের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্য দিয়ে প্রকল্পের ৪০৫০ জন সরাসরি উপকার ভোগী শাক-সবজি চাষ ও হাঁস-মুরগী পালনে সম্যক ধারনা অর্জন করতে সক্ষম হবেন। মোঃ মেহেদী হাসান, আব্দুর রহমান, মুন্সি সাইফুল ইসলাম সহ মোট ৩৫ জন প্রশিক্ষক উক্ত প্রশিক্ষনে সহায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডএর নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-এর অর্থায়নে ওয়াটার এইড, রূপান্তর ও জেজেএস এর সমন্বয়ে গঠিত কোস্টাল কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলার উপকূলীয় চারটিউ পজেলায় (মোল্লাহাট, কচুয়া, মংলা ও শরণখোলা) সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর পুষ্টির সার্বিক উন্নয়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।