জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জঃ
গোপালগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়া করতে এসে স্বামীর হাতে ধরা খেলেন পুলিশ কনস্টেবল রিয়াজুল ইসলাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ শহরের নতুন স্কুল রোডের ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ওই এলাকায় লোকজন জড়ো হয়। এসময় ওই নারীর স্বামী বিষয়টি পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কনস্টেবল রিয়াজুল ইসলামকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। রিয়াজুল ইসলাম কনস্টেবল নং-৭২৪। তিনি বর্তমানে ভোলা জেলা নৌ-পুলিশে কর্মরত আছেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলা উল্লাপাড়ায়।
শনিবার সকালে ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকার কাছে এ ব্যপারে আইনগত সহযোগিতা পাওয়ার জন্য লিখিত আবেদন করেন। ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিন বলেন, গোপালগঞ্জ জেলায় চাকরি করার সুবাদে পুলিশ সদস্য রিয়াজুল ইসলাম আমার স্ত্রী-র (রুমা আক্তার) সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিষয়টি আমি জানতে পেরে উভয়কে বিভিন্নভাবে এমনকি আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে এধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করি। কিন্তু আমার কথায় কর্ণপাত না করে তারা এই অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে যায়। আমার স্ত্রী সবসময় তাদের এ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে আসছিলেন। এঘটনাকে কেন্দ্র করে গত এক বছর ধরে আমাদের সংসারে নানাবিধ অশান্তি লেগে আছে। এরমধ্যে আমি মানসিকভাবে ভীষণভাবে ভেঙ্গে পড়ি। আমার স্ত্রী আমাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য তোড়জোড় শুরু করেন। একপর্যায় আমার স্ত্রী প্রলোভন দেখিয়ে পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া আমার একটি মূল্যবান জমি তার নামে দানপত্র দলিল করিয়ে নেয়। এছাড়া আমাদের পৈত্রিক বাড়ি ছেড়ে একই মহল্লায় আলাদা বাসা ভাড়া নিতে আমাকে বাধ্য করে। স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের সত্যতা যাচাই ও হাতেনাতে ধরতে ব্যবসায়িক কাজে আমার খুলনায় যাওয়ার কথা বলি। গত ১৮ আগস্ট হতে জরুরী প্রয়োজনে আমার খুলনায় রাত্রিযাপন করতে হবে বলে আমার স্ত্রীকে জানিয়ে আমার এক বন্ধুর বাসায় লুকিয়ে থাকি। এসময় আমাদের ভাড়ার বাসা ফাঁকা পেয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ি আমার স্ত্রী তার পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে ওই বাসায় রাত্রিযাপন করেন।প্রতিবেশীরা বিষয়টি আমাকে নিশ্চিত করার পর আমি বাসায় গিয়ে তাদেরকে হাতেনাতে ধরে ফেলি। এরপর গোপালগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ওই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় এবং থানা হেফাজতে রাখেন।
স্ত্রী রুমা আক্তার নবধারা কে বলেন, তিনি তার স্বামীকে একবছর আগে তালাক দিয়েছেন বলে জানান। কিন্তুএ সংক্রান্ত কোন কাগজ দেখাতে পারেননি তিনি।
গোপালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শীতল বালা বলেন, বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।