Nabadhara
ঢাকাশনিবার , ১ নভেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কথা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির গ্রাহকের ৩ কোটি টাকা নিয়ে কর্তৃপক্ষ উধাও, নিবন্ধন বাতিল

নওগাঁ প্রতিনিধি
নভেম্বর ১, ২০২৫ ৬:৪৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর মান্দায় কথা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের পরিচালক মাহমুদুল হাসান ওরফে কাহাদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সমিতির বিভিন্ন অনিয়মের প্রেক্ষিতে জেলা সমবায় অফিস থেকে পরিচালককে একাধিকবার শুনানির জন্য ডাকা হলেও তিনি হাজির না হওয়ায় সমিতির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকেরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

শনিবার বিকেলে উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের সিংগীহাটে ডিলিজেন্ট প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড কিন্ডারগার্টেন স্কুল মাঠে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সঞ্চয় ও আমানতের টাকা ফেরতের দাবিতে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ভুক্তভোগী গ্রাহক আব্দুস সাত্তার। এসময় বক্তব্য রাখেন, ওমর আলী, ইমারত আলী প্রামানিক, রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, রুবি, জেসমিন প্রমুখ। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের সঞ্চয়, ডিপিএস ও এফডিআর মিলিয়ে প্রায় তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছেন সমবায়টির পরিচালক মাহমুদুল হাসান ওরফে কাহাদ। তিনি উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের পার-কুলিহার গ্রামের মৃত আস্তুল সরদারের ছেলে।

জানা গেছে, সাত বছর আগে প্রসাদপুর ও সিংগীহাট এলাকায় দুটি শাখা খুলে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ শুরু করে কথা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি। পরে ‘লাখপতি অফার’ ও উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ব্যাংকের আদলে আমানত সংগ্রহ শুরু করে। শুরুর দিকে নিয়মিত মুনাফা দিলেও কয়েক মাস ধরে টালবাহানা শুরু হয়। একপর্যায়ে অফিস তালাবদ্ধ করে সমবায় কর্মকর্তারা উধাও হয়ে যান।

সিংগীহাট শাখার গ্রাহক মোজাম্মেল হক বলেন, তিন বছর আগে সদস্য হই। প্রতি মাসে এক লাখ টাকার বিপরীতে দুই হাজার টাকা মুনাফার আশায় আমানত রাখতাম। শুরুর দিকে মুনাফা পেয়েছি, কিন্তু কয়েক মাস ধরে বন্ধ। পরে দেখি অফিসেই তালা।

ক্যাশিয়ার আশিক আশরাফী রুবি বলেন, আমি ৪.৫ লাখ টাকার এফডিআর করেছিলাম। আমার মাধ্যমে প্রায় ৩০ লাখ টাকার আমানত সংগ্রহ হয়। কিন্তু কয়েক মাস ধরে পরিচালক টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা শুরু করেন। শেষমেশ ২১ আগস্ট রাতে সটকে পড়েন।

হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী জয়েন উদ্দীন বলেন, ‘আমি দেড় লাখ টাকা জমা রেখেছিলাম। প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা পেতাম। এখন আমার মূল টাকাটাই ফেরত পাচ্ছি না। আমরা পরিচালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

মৎস্যজীবী ওমর আলী বলেন, রাজধানীতে রিকশা চালিয়ে যা আয় করতাম, সেই টাকা জমা রাখতাম বেশি লাভের আশায়। এখন দেখি সব শেষ। গরিব মানুষের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। সে যেন দেশের বাইরে পালাতে না পারে, এজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ক্ষতিগ্রস্তরা আরও জানান, পরিচালক মাহমুদুল হাসান এর আগেও চলতি বছরের ২৩ মার্চ হঠাৎ উধাও হয়েছিলেন। পরে জুনে ফিরে এসে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেন। নতুন করে ঋণ বিতরণের প্রতিশ্রুতি দিলেও কৌশলে মাঠ থেকে টাকা আদায় করে আবার ঢাকায় পালিয়ে যান। তখন থেকে তিনি এবং তার সহযোগীরা ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে দাবি করেন গ্রাহকেরা।

মান্দা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রশিদ বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। উক্ত সমবায় সমিতির বিভিন্ন অনিয়মের প্রেক্ষিতে জেলা সমবায় অফিস থেকে পরিচালককে একাধিকবার শুনানির জন্য ডাকা হলেও তিনি হাজির না হওয়ায় সমিতির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রাহকদের অসচেতনতার সুযোগে প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা তাদের আমানত ফেরত ও পলাতক পরিচালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, পরিচালক যেকোনো সময় দেশত্যাগ করতে পারেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।