মোঃ জিহাদুল ইসলাম, নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের বি-পাটনা গ্রামের ছাত্র চন্দন রায় (২৫) এর বিরুদ্ধে সবজি গাছ কাঁটার অভিযোগ এনেছেন প্রতিবেশী মৃত নারায়ন দাশের ছেলে সুভংকর দাশ ও তার স্ত্রী রীনা বিশ্বাস। ২২ আগষ্ট (রোববার) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তারা জানান। চন্দন রায় ওই গ্রামের নিতাই রায়ের ছেলে।
ভুক্তভোগী রীনা বিশ্বাস জানান, তিনি আইপিএম কৃষক মাঠস্কুলের একজন ছাত্রী। সরকরিভাবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ সংগ্রহ করে আঙ্গীনায় লাগিয়েছেন। ঘটনার দিনে চন্দনের ক্ষেতের ফসল ছাগলে খাওয়াকে কেন্দ্র করে সুভংকর দম্পতির সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় চন্দ্রন গভীর রাতে তাদের কুমড়ো গাছ ও পেঁপেঁ গাছ কেঁটে ফেলেছে বলে তারা মৌখিক অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত চন্দন বলেন, মানুষের ক্ষতি করার মত কাজ আমি কোনদিনও করিনা। রিনা বিশ্বাসের বাড়ীর পাশে আমাদের ২ বিঘা জমির ফসল ওরা গরু-ছাগল দিয়ে নষ্ট করে। এ নিয়ে অনেকবার ওদের সাথে ঝগড়াও হয়েছে। আমি একজন ছাত্র, আমার ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জন্য ওরা আমাকে মিথ্যা দোষারূপ করে ফাঁসাতে চাইছে। বি-পাটনা গ্রামের বাবু মাতব্বর বলেন, আমি এই বংশ পরিচালনা করি। রীনা বিশ্বাস আমার বউমা হয়। সে একজন ধুরন্ধর মহিলা এ পর্যন্ত ২০/২৫ বার থানায় গিয়েছে। অথচ আমাদের বংশের কেউ এ পর্যন্ত থানায় যায় নাই। চন্দন ছেলেটা খুবই ভাল। সে কৃষ্ণভক্ত মঠের মতে থাকে। ছেলেটার ২ বিঘা জমির পাট ওরা ছাগল দিয়ে খাওয়ায় দিছে। ওরা নিজের গাছ নিজেরা কেটে ছেলেটাকে হয়রানি করতে চাইছে। আগেও এধরণের অনেক ঘটনা ওই মহিলা ঘটিয়েছে। একই কথা বলেন বি-পাটনা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাজিব খানসহ প্রতিবেশী প্রতাপ রায় ও তার স্ত্রী স্মৃতি রায়, মনোরঞ্জন দাশের স্ত্রী অনিতা দাশ, মকবুল বিশ্বাস, রাজিব সরকার এবং আরো অনেকে।
এ বিষয়ে নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রোকসানা খাতুন বলেন, এ ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ এখনো আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।