বকশীগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধি
জামালপুরের বকশীগঞ্জে একটি ডাকাতি মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রামের নিরীহ ব্যক্তিদের ফাঁসানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীদের পরিবার।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে মেরুরচর ইউনিয়নের জব্বারগঞ্জ বাজার এলাকায় ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের পক্ষে হাকিমুদ্দিনের ছেলে মান্নান মিয়া ও ওয়াজেদ আলীর ছেলে সুজন মিয়া বলেন , গত ১৮ অক্টোবর রাতে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আইরমারী বটতলা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ৭ থেকে ৮ জন মুখোশধারী ডাকাত ওই রাতে তার বাড়িতে লুটপাট করেন।
এঘটনায় ১৯ অক্টোবর বটতলা গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম রকিকে আটক করে পুলিশ। পরদিন একই গ্রামের হাকিমুিদ্দনের ছেলে মতলেব মিয়াকেও আটক করে পুলিশ। আটকের পর পুলিশ রকি ও মতলেবকে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে বিজ্ঞ আদালত ২ দিনের মঞ্জুর করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা আরও বলেন, কিছুদিন আগে আইরমারী বটতলা গ্রামের হাসেম মিয়ার সাথে তাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের জের ধরে মোহাম্মদ আলী মাস্টারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় মতলেব ও রকিকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়।
প্রকৃতপক্ষে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই মামলার বাদীর ইশারায় ভুক্তভোগীদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে। এই মামলায় গ্রামের নিরপরাধ ব্যক্তিদেরও ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে গ্রামের নিরীহ মানুষ গ্রেপ্তার আতঙ্কে ভুগছেন। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত করে ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
তাই নিরীহদের হয়রানি না করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান ভুক্তভোগীদের পরিবার।
এঘটনায় তারা জামালপুর জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

