শামীম শেখ, গোয়ালন্দ(রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কাচরন্দ গ্রামে সাহিন সরদার নামে এক ব্যক্তি প্রতিবেশীর বাঁধায় তার নিজ জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করতে পারছেন না।
উল্টো তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী সাহিন সরদার কাচরন্দ গ্রামের মৃত আকরাম সরদারের ছেলে।
প্রতিবেশী আলেকজান বিবি ও তার ছেলে লুৎফর খান তার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন বলে সাহিন সরদার অভিযোগ করেন।
সাহিন সরদার স্থানীয়ভাবে প্রতিকারের জন্য বারবার চেষ্টা করলেও আলেকজান বিবি ও তার ছেলে লুৎফর খান তাতে রাজী না হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন।
রাজবাড়ীর বরাট ইউনিয়নের বরাট বাজার সংলগ্ন বিএস খতিয়ানের ৫১৩ ও ৫১৪ নং দাগে ৩ শতাংশ জায়গা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্য এ দ্বন্দ্ব চলছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সাহিন সরদার জানান, আমার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে আমরা বিএস রেকর্ডের অধিকারী। ৫১৩ ও ৫১৪ নং দাগে আমাদের ৫২ শতাংশ জায়গা রয়েছে। যা আমাদের দখলেই আছে। সম্প্রতি আমার পূর্বের স্থাপনার পিছনে নতুন স্থাপনা করতে গেলে আমার প্রতিবেশী আলেকজান বিবি ও তার ছেলে লুৎফর খান গং নির্মাণ কাজে বাঁধা দেন এবং বিভিন্ন সময়ে সীমানা জুড়ে ময়লা আবর্জনা ফেলেন এমনকি আমার সীমানা ঘেঁষে খোলা পায়খানা নির্মাণ করে মল খোলামেলা রেখে পরিবেশ দূষণ করে আমাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে।
তাদের দাবি, আমাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তির মধ্যে তাদের ৩ শতাংশ জমি রয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে সমাধান চাইলে তারা তা অগ্রাহ্য করে এবং তারা কোনো কাগজপত্র দেখাতেও পারেনা।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার বসার কথা থাকলেও তারা বসতে রাজি না হয়ে আদালতে আমার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। তারপরেও আমি আমার প্রতিবেশীর বাড়ির সীমানা এবং আমার সীমানার মাঝে পশ্চিম-পূর্বমুখী প্রায় ১৬ ফিট চওড়া এবং প্রায় ১৫৮ ফিট লম্বা জায়গা রেখে আমার সীমানার ভেতরে স্থাপনার কাজ করছি। তাতেও তারা বাঁধা প্রদান করেন।
এমতাবস্থায় আমি জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমার নিজ জমির কাগজপত্র দেখে আমার বিষয়টি সমাধান করে শান্তিতে বসবাস করার সুযোগ করে দেন।
বরাট ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য সেলিম প্রামাণিক জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। এ ব্যাপারে একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদে সাহিন সরদার জমির সীমানা নির্ধারণের জন্য আবেদন করেন। আমরা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমির মাপজোখ করতে আসলে আলেকজান বিবি ও লুৎফর খান গং তাতে নারাজি দিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন।
বরাট ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে একের অধিক বার বসার সিদ্ধান্ত হলেও আলেকজান বিবি ও লুৎফর খান গং স্থানীয় বিচারে বিশ্বাসী নয়। তারা কোনো কিছু হলেই আদালতে দৌড়ঝাঁপ করেন। ইউনিয়ন পরিষদের সমাধান তারা চান না।
অভিযোগকারী লুৎফর খান মুঠোফোনে জানান, সাহিন সরদার আমার প্রতিবেশী। এক হিসাবে ওরা আমাদের আত্মীয়। রেকর্ডে ভুল বশত ওদের নামে আমাদের ৩ শতাংশ জমি উঠে যায়। এ ব্যাপারে আদালতে ২০২১ সাল হতে রেকর্ড সংশোধনী মামলা চলছে। মামলা চলাকালে স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ বে-আইনি। আদালত ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করলে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আদালতে মামলা চলমান রয়েছে । মামলায় যা রায় হয় সেটাই আমি মেনে নিবো। ওদের সাথে আমাদের কোনো ঝামেলা নেই।
আলেকজান বিবি বলেন, আমি সাহিন সরদারদের ভেতরে ৩ শতাংশ জমি পাবো। স্থানীয় মেম্বারদের বিচার আমি মানি না। আদালতে মামলা করেছি। আদালত আমার জায়গা বুঝিয়ে দেবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.