1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন

চিতলমালীতে বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গাছ পাচারের অভিযোগ

Reporter Name
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট, ২০২১
  • ১২২৫ জন নিউজটি পড়েছেন।

স্টাফ রিপোর্টার, চিতলমারীঃ

বাগেরহাটের চিতলমারীতে বন কর্মকর্তা চিন্ময় মধুর বিরুদ্ধে সরকারি গাছ পাচারের অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে চিতলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল দুই ভ্যান গাছ আটকিয়ে রাখেন। রেঞ্জার চিম্ময় মধু বাগেরহাট জেলার ৯ উপজেলা ও খুলনার ৫ উপজেলাসহ ১৪টি উপজেলার বন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত রয়েছেন। তবে বন কর্মকর্তা পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবী ওই গাছ তিনি ফার্ণিচার বানানোর জন্য ৩ বছর আগে নিলামে বিক্রয় করা গাছ এজনের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন। এ ঘটনায় চিতলমারীতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা বন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দুটি ভ্যানযোগে বড় বড় ৮পিস শিশুকাঠের লক উপজেলা মোড়ে একটি স্মিলে (করাতকল) নেয়া হচ্ছিল। এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল উক্ত গাছের সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় ভ্যানের চালক জানান বন কর্মকর্তা চিন্ময় মধু তাদের গাছ নিয়ে করাতকলে রাখতে বলেছেন। তখন তিনি গাছ গুলো আটক করে রাস্তার পাশে রাখতে বলেন।

নাম প্রকাশ নাকরার শর্তে চিম্ময় মধুর গ্রামের লোকজন বলেন, একজন দ্বিতীয় শ্রেনীর কর্মকর্তা হয়ে তার নিজ গ্রামে কোটি টাকার বেশী মূল্যের আলিশান বাড়ি করেছেন। অপরদিকে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে চিন্ময় মধু তার নিজের নামের সরকারী বাসভবন (কোয়ার্টার) বরাদ্দ না নিয়ে তার স্ত্রী আড়ুয়াবর্ণী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লোপা রানীর নামে দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলা পরিষদের বাসায় বসবাস করছেন। যা সম্পূর্ণ ভাবে নিয়ম বর্হিভূত।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল বলেন, কয়েকজন ব্যক্তি ভ্যানযোগে সন্দেহজনক ভাবে উপজেলা পরিষদের মধ্য থেকে ৮ খন্ড গাছ পার্শবর্তী করাতকলে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার নজরে আসে। বিষয়টি ভ্যান চালকদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বন কর্মকর্তা চিন্ময় মধুর কথা বলেন। চিন্ময় মধু গাছ গুলো অবৈধ ভাবে পাচার করছিল বলে সন্দেহ হওয়ায় সে গুলো মিলে না নিয়ে রাস্তার পাশে রাখতে বলা হয়।

বন কর্মকর্তা চিন্ময় মধু পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিন বছর আগে ওই গাছ আমি টেন মাধ্যমে ক্রয় করেছেন।ওই গাছ দিয়ে ফার্ণিচার তৈরি করা হবে। এ সময় তিনি টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ ক্রয়ের কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

বাগেরহাট জেলা বন বিভাগের ডিএফও মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, বন কর্মকর্তা হিসেবে তার টেন্ডার ক্রয় করার কোন নিয়ম নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ লিটন আলী নবধারা কে বলেন, গাছের বিষয়টি শুনে বন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। তিনি আগামীকাল টেন্ডারের কাগজপত্র দেখাবেন বলে জানিয়েছেন। যদি তিনি বৈধ কাগজপত্র না দেখাতে পারেন তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION