মোঃ ইব্রাহীম মিঞা, দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ৩ নম্বর খানপুর ইউনিয়ন পরিষদে সকাল ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত না থাকার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি অফিসের নির্ধারিত সময় সকাল ৯টা হলেও দেরিতে উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের মূল কার্যালয় খোলা থাকলেও চেয়ারম্যান, সচিব ও কোনো কর্মচারী উপস্থিত নেই। বিভিন্ন কাজে আসা স্থানীয়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন
“প্রতিদিনই প্রায় একই চিত্র দেখা যায়। সাধারণ মানুষ সকাল সকাল অফিসে আসে, কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্তরা তখনও আসেন না। কাজ শেষে বাড়ি ফিরে যাওয়ারও তাড়াহুড়ো থাকে।”
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস চলার কথা। কিন্তু মাঠপর্যায়ে এই সময়সূচি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে গ্রামীণ জনসেবা, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, কিংবা নাগরিক সনদ গ্রহণের মতো কাজে আসা মানুষরা দুর্ভোগে পড়ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নুজহাত তাসনীম আওন বলেন,
“বিষয়টি দেখছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, সরকারি দপ্তরগুলোতে সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করা গেলে জনসেবার মান অনেক উন্নত হবে। তারা আরও বলেন, “যেখানে জনসেবা দেওয়ার কথা, সেখানে দেরিতে আসা বা অফিস ফাঁকা থাকা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। প্রশাসনের নিয়মিত মনিটরিং প্রয়োজন।”
উল্লেখ্য, সরকারি দপ্তরসমূহে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত থাকা এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯-এর আওতায় একটি বাধ্যতামূলক দায়িত্ব।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.