পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পারস্পরিক দ্বন্দ্বের কারণে ‘ভিডব্লিউবি’ (ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট) কর্মসূচির চাল বিতরণ কার্যক্রম চার মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে ২৬৬ জন হতদরিদ্র নারী সরকারি বরাদ্দকৃত চাল থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
সরেজমিনে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দেখা যায়, ওই ইউনিয়নের ২৬৬ জন উপকারভোগীর জন্য বরাদ্দকৃত চার মাসের প্রায় ৩২ টন চাল পরিত্যক্ত একটি ভবনে দীর্ঘদিন ধরে মজুত রয়েছে। আর্দ্রতা, ইঁদুরের উপদ্রব ও স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে চালগুলো ইতিমধ্যে নষ্ট হতে শুরু করেছে।
চাল না পেয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন উপকারভোগীরা। তারা বলেন, “সরকার চাল দিচ্ছে, কিন্তু আমরা পাচ্ছি না। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি, ধারদেনা করে দিন কাটাতে হচ্ছে।”
হোসেনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌফিকুল আমিন মণ্ডল টিটু অভিযোগ করে বলেন, “আমরা নিয়ম অনুযায়ী যথাসময়ে উপকারভোগীদের তালিকা দিয়েছি। কিন্তু মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় আমাদের তালিকা থেকে কিছু নাম বাদ দিয়ে নিজেদের পছন্দমতো নতুন তালিকা চাপিয়ে দিয়েছে। আমি আপত্তি করায় চাল বিতরণ প্রক্রিয়া আটকে দিয়ে আমার ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা চলছে।”
অন্যদিকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহানাজ আক্তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “চেয়ারম্যান যথাসময়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেননি। তবে এখন সব কাগজপত্র হাতে পেয়েছি, আগামী রোববারের মধ্যেই চাল বিতরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহামেদ বলেন, “বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ও দায়িত্ব পালনে অনীহার কারণে সরকারি সেবার সুফল থেকে দরিদ্র নারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনৈতিক। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উপকারভোগীদের মধ্যে চাল বিতরণের জোর দাবি জানিয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.