মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জে নিখোঁজের তিন দিন পর খাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া অটোচালক মোহাম্মদ মজিবল মাঝি হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাও উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন—সোহাগ মোল্লা (৪৩), জয় (৩১), ইমরান (৩০), হারুন (৫১) এবং আলী হোসেন (৪০)।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম. সাইফুল আলম বলেন, নিহত মজিবল মাঝি (৪৪) পেশায় অটোরিকশা চালক ছিলেন এবং পরিবারসহ ঢাকার লালবাগের ইসলামবাগ এলাকায় বসবাস করতেন।
গত ৩১ অক্টোবর বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে তিনি অটোরিকশা নিয়ে গ্যারেজ থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন তাঁর ছেলে রাসেল লালবাগ থানায় একটি নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিন দিন পর, ৩ নভেম্বর সকালে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রতনপুর মধ্যপাড়া এলাকার একটি ডোবায় হাত-পা বাঁধা মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে স্বজনরা সেটি মজিবল মাঝি হিসেবে শনাক্ত করেন।
ওসি জানান, গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় ‘মাওয়া যাওয়ার কথা বলে’ কৌশলে মজিবল মাঝিকে ইমরানের বাড়িতে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করা হয়। এরপর সোহাগ তাঁর গলায় রশি পেঁচিয়ে ধরে, ইমরান পা ধরে রাখে এবং জয় বুকের ওপর বসে কাঁচি দিয়ে হত্যা করে।
হত্যার পর লাশটি বিছানার চাদর ও কম্বলে মুড়িয়ে সোহাগের অটোরিকশায় করে রতনপুর এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন তাঁরা নিহতের অটোরিকশাটি হারুনের কাছে ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে, পরে তা রামসিং আলীর গ্যারেজে আরও এক লাখ এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.