Nabadhara
ঢাকারবিবার , ৯ নভেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মেহেরপুরে পদ্মফুল তুলতে গিয়ে একই পরিবারের চার শিশুর মৃত্যু

মেহেরপুর প্রতিনিধি
নভেম্বর ৯, ২০২৫ ৬:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের মশুরভাজা বিলে পদ্মফুল তুলতে গিয়ে একই পরিবারের তিনজনসহ চার শিক্ষার্থীর  মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন—রাজনগর গ্রামের আব্দুস সামাদের মেয়ে ফাতেমা আক্তার  (১৪) ও আফিয়া আক্তার  (১০), আব্দুস সামাদের ভাই ইরাক প্রবাসী সাহারুল ইসলামের মেয়ে আলেয়া আক্তার  (১০) এবং ইসহাক আলীর মেয়ে মিম আক্তার  (১৪)। ফাতেমা মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী  , মিম আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী  । আর আফিয়া ও আলেয়া বারাদি তৃণমূল মডেল একাডেমির চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী । নিহত চারজনেরই বাড়ি রাজনগর গ্রামের মল্লিকপাড়ায়।

 

স্থানীয়রা জানান, দুপুর দেড়টার দিকে চার শিশু একসঙ্গে পদ্মফুল তুলতে মশুরিভাজা বিলে যায়। দীর্ঘক্ষণ তারা বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজ নিতে গিয়ে বিলপাড়ে তাদের স্যান্ডেল দেখতে পান। পরে পানিতে এক শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী উদ্ধার কাজে নামেন। তারা প্রথমে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেন। একজন নিখোঁজ থাকায় খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসে। পরে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল সন্ধ্যার দিকে বিলের একটি গভীর গর্ত থেকে শেষ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।

 

মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের টিম লিডার শামিম হোসেন বলেন, “স্থানীয়রা প্রথমে তিনজনকে উদ্ধার করে। পরে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিলের একটি গভীর গর্ত থেকে আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করি।”

 

বারাদি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই রেজাউল ইসলাম বলেন, “ফুল তুলতে গিয়ে চারজন বিলে পড়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, তারা বিলের একটি গভীর গর্তে তলিয়ে যায়। বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।”

মেহেরপুর সদর থানার ওসি মেছবাহ উদ্দিন জানান, নিহতদের কেউ সাঁতার জানত না। বিলে বিভিন্ন স্থানে গভীরতার তারতম্যের কারণে তারা হঠাৎ গভীর পানিতে তলিয়ে যায়।

দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো রাজনগর এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে গ্রাম।

 

ঘটনার পর মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবিক) মো. তরিকুল ইসলাম, সদর  উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত)  সুমাইয়া জাহান ঝুরকাসহ প্রশাসনের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম জানান, “নিহত পরিবারের প্রতি গভীর শোক জানাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি পরিবারের জন্য দাফন কাজে সহায়তা হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে।”

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।