শামীম শেখ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিপ্লব ঘরামি (৪০) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
তবে কাঁচা সুপারি ও জর্দা দিয়ে পান খাওয়ার কারনে তিনি অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন বলে স্হানীয় অনেকের ধারনা।
নিহত বিপ্লব ঘরামি মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার কাজিপুর ৩নং ওয়ার্ডের মৃত হারেজ উল্লাহ ঘরামীর ছেলে। তার দুটি সন্তান রয়েছে। কলেজ পড়ুয়া বড় মেয়ে শিলা আক্তার (১৮) ও ছেলে আব্দুল্লাহ(১১)।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে যৌনপল্লীর মেনগেট খাজার ড্যাগ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিনগত মাঝ রাতে বিদেশগামী এক আত্মীয়কে ঢাকা বিমান বন্দরে আগায় দিতে যান বিপ্লব ঘরামি। রাতে সড়ক- মহাসড়কে কড়াকড়ি কারনে তার ফিরতে দেরি হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে তিনি গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে এসে যৌনপল্লী এলাকায় যান পরিচিত একজনের সাথে দেখা করতে। সেখানে খাজার ড্যাগ এলাকায় একটি পানের দোকানের বেঞ্চে বসে কাঁচা সুপারি ও জর্দা দিয়ে পান খাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যান। পরে যৌনপল্লীতে থাকা পুলিশ ও স্হানীয় লোকজন তাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিপ্লব ঘরামীর চাচাতো ভাই হালিম মুঠোফোনে জানান, তার ভাই খুব ভালো একজন মানুষ। তার কোন বাজে নেশা ছিল না। তবে তার হার্টের সমস্যা ছিল। সে আমাদের এলাকায় কাজিপুর গোলাম বাজারে নাইটগার্ডের চাকরি করতো। পাশাপাশি একটি পানের দোকান করতো। তার অতিরিক্ত পান খাওয়ার নেশা ছিল।
তবে যৌনপল্লী এলাকার কারো কারো ধারনা মদ ও যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনের কারনে তার মৃত্যু হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নিহত বিপ্লব ঘরামির মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে। তবে লোকটির হার্টের অসুখ ছিল এবং কাঁচা সুপারি ও জর্দা দিয়ে পান খেয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.