দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অনৈতিক কাজের অভিযোগে প্রাগপুর ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা এস. এম. সোহরাব হোসেনকে অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ ছিল, তিনি অবৈধ সুবিধা গ্রহণ ও অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিলেন। পরে স্থানীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর রোববার তাকে অন্য উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এস. এম. সোহরাব হোসেন দীর্ঘদিন প্রাগপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত থাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং নিজস্ব বলয় তৈরি করেন। তিনি দাখিলা ও নামজারি প্রক্রিয়ায় সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে নিয়মিত আর্থিক সুবিধা দাবি করতেন। অভিযোগ রয়েছে, পর্যাপ্ত টাকা না দিলে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে নামজারির আবেদন বাতিল করতেন।
সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় এক নারী সেবাগ্রহীতার সঙ্গে তিনি অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বৃহস্পতিবার ওই নারীকে অফিসে ডেকে নিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার সময় স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে ধরে অফিস কক্ষে আটক রাখে। পরে সন্ধ্যায় স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা ও দেনদরবার শেষে এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগীদের দাবি, দুই মাস আগে একটি নামজারির জন্য তিনবার আবেদন বাতিল করা হয়েছিল। পরে ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করলে নামজারিটি সম্পন্ন হয়।
প্রাগপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর জানান, তখন তারা কেউ অফিসে উপস্থিত ছিলেন না। কেন তাকে অবরুদ্ধ রাখা হয়েছিল, তা তারা জানেন না।
দৌলতপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন, “এস. এম. সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। তাকে ভেড়ামারা উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন। তবে এক লক্ষ টাকার বিষয়টি আমি জানি না।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, “স্থানীয়রা অনৈতিক কাজের অভিযোগে তাকে অবরুদ্ধ করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে অফিসিয়ালি তদন্ত চলছে এবং তাকে ইতোমধ্যে বদলি করা হয়েছে।”

