মোঃ মোকাররম হোসাইন, জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের সদর রাস্তার রেলগেটে উঁচু-নিচু হওয়াই প্রতিনিয়তই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। দু’ বছর পার হলেও ডবল রেল হবে এমন আশ্বাসে সময় পার করছে রেল কর্তৃপক্ষ। দ্রুত রেলের মাঝের উঁচু-নিচু রাস্তাটি সমান করে দিতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
স্থানীয় ভ্যানচালক মুমিনুল হকের ভাষ্য, প্রায় দুই বছর আগে রেল সংস্কার করার সময় সড়কের পাকা অংশ তুলে ফেলে সংশ্লিষ্টরা। এরপর থেকে যে উঁচু-নিচু অংশের তৈরি হয়েছে, তাতে প্রতিনিয়তই ছোট ছোট যানবাহন যাত্রীসহ উল্টে যাচ্ছে। আবার অনেক রোগীরা এই রেলগেট পার হওয়ার সময় উঁচু-নিচু অংশের ঝাঁকুনি খেয়ে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
এছাড়া যানবাহনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যানবাহনে থাকা মালামালেরও ক্ষতি হচ্ছে। আবার অনেকে উল্টে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহতও হচ্ছেন।
উপজেলার বিহারপুর গ্রামের অটোভ্যান চালক সাদ্দাম হোসেন বলেন, রেলগেটের উভয় পাশের সড়ক ভালো হলেও রেলগেটের রেলের অংশটি দীর্ঘদিন যাবত উঁচু-নিচু করে রাখা হয়েছে। এই সামান্য অংশটুকু পারাপার হওয়ার কারণে গাড়ির যানবাহনের যন্ত্রাংশ হঠাৎ করেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বিশেষ করে দিন-রাত্রি মিলে প্রায় ২০ টির বেশি ট্রেন চলাচলের সময় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তখন ভিড়ের মাঝে এই উঁচু-নিচু অংশ পার হতে যানবাহনের সঙ্গে পথচারীদের ধাক্কা লাগে। বাস-ট্রাক আটকে যায়। এতে করে মানুষের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, পাশাপাশি যানবাহনেরও চরম ক্ষতি হয়।
পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা ও সাংবাদিক ওমপ্রকাশ আগরওয়ালা জানান, আক্কেলপুর রেলগেট অনুমোদিত একটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এই রেলগেট পার হয়ে উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় অর্ধ লাখ মানুষ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনই উপজেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে থাকেন।
রেলগেটে নতুন ভোগান্তি হিসেবে যুক্ত হয়েছে উঁচু-নিচু রাস্তা। এই রেলগেট একবার পার হলে দুর্বল মানুষ আরো দুর্বল হয়ে পড়ছে। তাই দ্রুত রেলের রাস্তাটি সমান করে যাত্রীদের দূর্ভোগ কমাতে রেলকর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবিদা খনম বৈশাখী জানান, সংস্কার কাজে রেলের অংশের পাকা তোলার কারণে যে উঁচু-নিচু অংশের সৃষ্টি হয়েছে, সেই সামান্য অংশ চলাচলে পথচারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো হবে।
আক্কেলপুর রেল স্টেশন মাস্টার খাতিজা খাতুন বলেন, রেলগেটের ওই জায়গাটায় বেশ কয়েকবার ইটের খোয়া দেওয়া হয়েছে। তার পরেও
প্রতিদিন দূঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে রাতে মাছের গাড়িগুলো যায় তখন গাড়ি থেকে পানি পরে এতে আরও বেশি নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.