রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীতে শনিবার সকালে নান্নু টাওয়ারের রাজবাড়ী কনভেনশন সেন্টারে “ফারাক্কা ব্যারেজ ও বাংলাদেশের সংকট, পদ্মা ব্যারেজ ও বাংলাদেশের সম্ভাবনা এবং দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর আগামীর সম্ভাবনা” শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারের আয়োজন করে পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি।
সেমিনারে বক্তারা জানান, রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর থেকে ভারতের ফারাক্কা পর্যন্ত ১৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা ব্যারেজ নির্মিত হলে দেশের নদীগুলোতে সারা বছর পানি থাকবে। এতে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, লবণাক্ততা হ্রাস, বনায়ন সম্প্রসারণ, খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনে বড় ধরনের অগ্রগতি আসবে। তারা মনে করেন, ফারাক্কা ব্যারেজজনিত জলসংকট মোকাবিলায় পদ্মা ব্যারেজ একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হবে।
বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া অংশে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মিত হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নতুন গতি সৃষ্টি হবে।
সেমিনারের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, যিনি বলেন, “পদ্মা ব্যারেজ বাস্তবায়িত হলে দেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। এ প্রকল্পে রাজনৈতিক সদিচ্ছা অত্যন্ত প্রয়োজন।” তিনি সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া। এছাড়া আলোচনা করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান, উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল এসএম মতিউর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ, সাবেক রাষ্ট্রদূত খোন্দকার আব্দুস সাত্তার, এবং মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু ওহাব মো. হাফিজুল হক।
“পদ্মা সেতু ও আগামীর সম্ভাবনা” বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকৌশলী মো. শাখাওয়াত হোসেন শামীম। এছাড়া “কেমন রাজবাড়ী চাই” ও “আলোকিত রাজবাড়ী” বিষয়ে অ্যানিমেশন উপস্থাপন করেন অর্ণব নেওয়াজ মাহমুদ হৃষিত ও সাদাত খান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক সালাম তাসির। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ চৌধুরী আহসানুল করিম হিটু এবং সমন্বয়ক এটিএম আকরাম হোসেন বাবলু।

