মোঃ শাহ জালাল, বরিশাল চীফ ব‍্যুরো

বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল শেরে বাংলা হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। ১২০ রোগী বিভাগে সরকারি হিসাব মতে চলতি বছরে মৃত্যুর সংখ্যা দাড়িয়ে ৪৫ জনে।

বরিশাল ও বরগুনা জেলায় গত মাসের তুলনায় এ মাসে কয়েক গুনে রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫.১১.২৫) পর্যন্ত বিভাগে মোট ১৯৯১৪ রোগী সনাক্ত হয়েছে ১৯৪৩৯ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরেছেন। ৪৩০ জন রোগী হাসপাতাল গুলোতে ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগীয় স্বাস্থ অধিদপ্তরের অধীন হাসপাতাল গুলোতে ১৫০ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গত ১০ মাসে বরিশাল জেলার হাসপাতাল গুলোতে ১৮১২ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৪৩ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন, ৬৯ জন রোগী চিকিৎসা ধীন রয়েছেন।

বরগুনা জেলায় হাসপাতাল গুলোতে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। বরগুনা জেলার সরকারি হিসাব মতে ৯২৪১ জন আক্রান্ত হয়েছে ৯১৫৬ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছেন ১৫ জন রোগী ৭০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা ধীন রয়েছে পটুয়াখালী ৮৯ জন,ভোলা ২৭ জন, পিরোজপুর ৩৩ জন,ঝালকাঠি ২৩ জন এবং চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে,পটুয়াখালী ৩জন, ভোলা ১জন বরগুনা ১৫ জন, বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ২৬ জন এ বিষয় শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একে এম মশিউল মুনীর বলেন ভর্তি রোগীদের অনেক রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত পাওয়া যাছে।

প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু সনাক্ত টিম রয়েছে। মনিটরিং করা হচ্ছে। সনাক্তকৃত রোগীদের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে গুলোতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রতি দিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বরিশাল জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক( ভারপ্রাপ্ত) লুসিকান্ত হাজং বলেন ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাসিক মিটিং সহ পৌরসভা, উপজেলা গুলোতে নিয়োমিত মনিটরিং কাজ চলছে।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ অধিদপ্তরের পরিচালক শ্যামল কৃষ্ঞ মন্ডল বলেন তৃন্নমুল থেকে এ সকল রোগ ছড়িছে পরছে হাসপাতাল গুলোতে পর্যাপ্ত সনাক্তকরন কীট, নর সেলাইন, চিকিৎসা উপকরন সাফ্লাই রয়েছে। ডেঙ্গু মশা উপদ্রব যাতে না বাড়ে সে সম্পর্কে, বাসা বাড়ীতে আবদ্ধ পানি যাতে না থাকতে পারে , আশে পাশে, ডারের খোসা,সাইকেলের টায়ার,চিপস প্যাকেটে যাতে পানি জমতে না পারে তার খেয়াল রাখার ব্যপারে যন্তবান হওয়ার পরামর্শ দেয়া আছে।