শফিকুল ইসলাম সাফা, চিতলমারীঃ
বাগেরহাটের চিতলমারীতে করোনা ভাইরাস সংক্রামণের ভয়ে দীর্ঘ ১৮ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ রয়েছে।
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণার পর থেকেই চিতলমারী উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো খোলার জন্য চলছে প্রস্তুতি। চলছে ধোয়ামোছার কাজ।তবে এউপজেলায় অনেক শিক্ষক রয়েছেন তারা গোড়ামী করে এখনও টিকা গ্রহণ করেন নি।স্কুল খোলার খবর শুনে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
সরেজমিনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠান গুলোতে চলছে পরিস্কার পরিছন্নতার কাজ।বসার বেঞ্চগুলো এরই মধ্যে পরিস্কার করা হয়েছে।পরিপাটি স্কুল কলেজ যেন শিক্ষার্থীদের অপেক্ষায় অধির আগ্রহে রয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ১১১টি সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয় রয়েছে যার শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১১হাজার ২৮৯ জন। এছাড়া ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যলয়, ৩টি ডিগ্রী কলেজ এবং ১টি আইডিয়াল কমার্স কলেজ ও ৭টি আলিয়া মাদ্রাসা রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭৫৪৯ হাজার।
চিতলমারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: আমিনুল ইসলাম বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো ধোয়ামোছার কাজ শেষ করে স্কুল খোলার সকল প্রকার প্রস্তুতি নিয়েছি। সকল স্কুলে পর্যাপ্ত মাস্ক ব্যাবহার, হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যাবহার ও বিশুদ্ধ পানি এবং সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়াসহ সকল ব্যাবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: মফিজুর রহমান নবধারা কে বলেন, এবারের প্রস্তুতিটা বেশ ভিন্ন রকম। কেননা শুধু অবকাঠামো পরিস্কার নয়, করোনা সংক্রমণের শঙ্কা বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী উপজেলার সকল কলেজ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রসা খোলার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছ।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো সরকারি নির্দেশনা মেনে পাঠদান অব্যহত রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা রাখি।