ফরিদপুর প্রতিনিধি
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর-১ (আলফাডাঙ্গা–মধুখালী–বোয়ালমারী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে উত্তাপ থামছেই না। বহু নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে এ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিরের। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে তৃণমূলের আস্থা অর্জন করেছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৬৩টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও ৩৭টি আসন অপেক্ষমাণ রেখেছেন। সেই তালিকায় রয়েছে ফরিদপুর-১ আসন। প্রথমে সাবেক এমপি খোন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও সামসুদ্দিন ঝনুর নাম আলোচনায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত দু’জনের কাউকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে এ আসনে দীর্ঘদিন ধরে চলছে নাসির ও ঝনু গ্রুপের বিভাজন। উভয় গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এর মধ্যে বোয়ালমারী যুবদলের নেতা ও সাবেক পৌর কমিশনার লিপনকে ৭ নভেম্বর মারধরের ঘটনায় উত্তেজনা চরমে ওঠে। বর্তমানে তিনি ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার জন্য নাসির গ্রুপকে দায়ী করেন লিপনের স্ত্রী ও বিএনপি নেত্রী মুন্নী রহমান।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নানা কারণে নাসির ও ঝনু—দুজনেই মনোনয়ন পাওয়া থেকে দূরে সরে গেছেন। আর এ সুযোগে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন মনিরুজ্জামান মনির। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের আগে প্রকাশ্যে নেতারা মন্তব্য করতে না চাইলেও অনেকেই তাকে “ক্লিন ইমেজের কর্মীবান্ধব নেতা” হিসেবে দেখছেন।
মধুখালী, আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারীর তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা জানান, “আমরা শতভাগ মনিরুজ্জামান মনিরকে পছন্দ করি।” তাদের দাবি—বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেন তাকে মনোনয়ন দেন।

